সন্ময় ইস্যুতে পুলিসের বাড়াবাড়িতে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, অপসারিত পুরুলিয়ার অতিরিক্ত পুলিস সুপার

সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর পুরুলিয়া পুলিস থার্ড ডিগ্রি প্রয়োগের অভিযোগ। পুলিসের আচরণে যারপরনাই ক্ষুব্ধ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপসারিত খড়দা থানার আইসি ও পুরুলিয়ার অতিরিক্ত পুলিস সুপার।

Reported By: সুতপা সেন | Updated By: Oct 24, 2019, 01:40 PM IST
সন্ময় ইস্যুতে পুলিসের বাড়াবাড়িতে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, অপসারিত পুরুলিয়ার অতিরিক্ত পুলিস সুপার

সুতপা সেন : খড়দা থানার আইসির পর এবার পুরুলিয়ার অতিরিক্ত পুলিস সুপার। সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগে এবার সরানো হল পুরুলিয়ার অতিরিক্ত পুলিস সুপারকে। নবান্ন সূত্রে খবর, পুলিসের বাড়াবাড়িতে চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গ্রেফতারের পর কংগ্রেস নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুরুলিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, সেখানে তাঁর উপর অমানুষিক অত্যাচার করা হয়। এমনকি সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, তাঁর উপর পুরুলিয়া পুলিস থার্ড ডিগ্রি প্রয়োগ করেছে। এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে সব মহলে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও খবর পৌঁছয়। নবান্ন সূত্রে খবর, এতেই চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিসের আচরণে রুষ্ট হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরই সামনে আসে খড়দা থানার আইসি ও পুরুলিয়ার অতিরিক্ত পুলিস সুপারকে বদলির সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিসের থার্ড ডিগ্রি প্রয়োগ এদেশে অবৈধ।

পুরুলিয়ার অতিরিক্ত পুলিস সুপার পদে ছিলেন আইপিএস অফিসার চন্দ্র শেখর বর্ধন। তাঁকে পুরুলিয়ার অতিরিক্ত পুলিস সুপার পদ থেকে সরিয়ে ডাবগ্রামে রাজ্য সশস্ত্র পুলিসের ১২ তম ব্যাটেলিয়নের ডেপুটি কম্যান্ডাট করা হয়েছে। অন্যদিকে কার্শিয়ংয়ের এসডিপিও পিনাকি দত্তকে পুরুলিয়ার অতিরিক্ত পুলিস সুপার পদে আনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানহানিকর মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে সন্ময়বাবুর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোলা চিঠি লেখেন সন্ময়বাবু।  এইসব অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে খড়দা থানার পুলিশ। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে রাজ্য জুড়ে সমালোচনার ঢেউ ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বক্তব্য জানানোর জন্য একজনকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, এর থেকে প্রমাণিত হয় রাজ্যে কোনও গণতন্ত্র নেই। বিরোধীদলগুলো এই অভিযোগ তোলে।

আরও পড়ুন, রাজ্যপালের নিরাপত্তায় আধাসেনা কেন? সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি নবান্নের

এরপর জামিন পেয়ে যান সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। জামিন পাওয়ার পরই প্রকাশ্যেই সন্ময়বাবু অভিযোগ করেন, গ্রেফতারের পর তাঁকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে। এমনকি থানায় তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সন্ময়বাবু। তাঁর এই অভিযোগে রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্কের ঝড় ওঠে।

.