সাংবাদিক বৈঠকের মঞ্চে একা মমতা, প্রশান্তের পরশে বদলে গেল তৃণমূল?
এই কর্মসূচির অধীনে প্রকাশ করা হয়েছে একটি ফোন নম্বর ও একটি ওয়েবসাইট। থাকছে একটি ওয়েবসাইটও। সেখানে নিজেদের অভাব অভিযোগ বিস্তারে জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। ৯১৩৭০৯১৩৭০ নম্বরে ফোন করে বা www.didkebolo.com-এ গিয়ে জানানো যাবে অভিযোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মিলে গেল জ়ি ২৪ ঘণ্টার খবর। সোমবার দুপুর ২টোয় নজরুল মঞ্চে এক সাংবাদিক বৈঠকে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচির সূচনা করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, তৃণমূলকে আধুনিক করার উদ্যোগ শুরু হল। এদিন ব্যতিক্রমী ভাবে সাংবাদিক সম্মেলনের মঞ্চে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই। তবে হোল টাইমার নিয়োগের জল্পনা এদিন খারিজ করে দেন তিনি।
গাঢ় নীল কাপড়ে ঘেরা এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেশ অচেনা লাগছিল। সেখানে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে তৃণমূলের বন্ধন আরও জোরদার করতে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি চালু করতে চলেছে তৃণমূল। এই কর্মসূচির অধীনে প্রকাশ করা হয়েছে একটি ফোন নম্বর ও একটি ওয়েবসাইট। থাকছে একটি ওয়েবসাইটও। সেখানে নিজেদের অভাব অভিযোগ বিস্তারে জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। ৯১৩৭০৯১৩৭০ নম্বরে ফোন করে বা www.didkebolo.com-এ গিয়ে জানানো যাবে অভিযোগ।
এছাড়া কর্মসূচির আওতায় আগামী ১০০ দিনে রাজ্যের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে যাবেন তৃণমূল নেতারা। নিজের নির্বাচনী এলাকায় একটি গ্রামে রাত কাটাবেন তাঁরা। কে কোন গ্রামে যাবেন তা ঠিক করবে জেলা নেতৃত্ব। গ্রামে গিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। কথা বলবেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। কথা বলবেন গ্রামের গুণী মানুষদের সঙ্গে। রাতে কোনও দলীয় কর্মীর বাড়িতে সদলবলে নৈশাহার সারবেন তাঁরা। গ্রাম ছেড়ে বেরোনোর আগে উত্তোলন করবেন দলীয় পতাকা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিধানসভা নির্বাচনের এখনো বাকি ২০ মাস। তাই এখনই নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন না তাঁরা। তবে জনসংযোগ বাড়াতে তৎপর থাকবে তাঁর দল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে নবান্নে একটি গ্রিভেন্স সেল তৈরি করেছেন তিনি। সেখানে সাধারণ মানুষের অভিযোগ জানানোর সুযোগ রয়েছে। অতিরক্ত সুবিধা হিসাবে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। সংক্ষিপ্ত সাংবাদিক বৈঠক শেষে রিমোটে প্রকল্পের ব্যানারের আবরণ উন্মোচন করেন তৃণমূলনেত্রী।
বিজেপিকে নকল করে বিনাশ রুখতে পারবে না তৃণমূল, প্রতিক্রিয়া রাহুল সিনহার
এর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে হোল টাইমার নিয়োগের জল্পনা খারিজ করে দেন তিনি। বলেন, 'তৃণমূল গরিবদের দল। তাই আমাদের বিজেপি, সিপিএমের মতো হোল টাইমার রাখার সামর্থ নেই। দলীয় কর্মীরাই সব কাজ করবেন।'
তবে এদিন থেকে শুরু হল তৃণমূলের করপোরেটকরণ? জবাবে মমতা বলেন, তৃণমূলের আধুনিকীকরণ শুরু হল বলতে পারেন।