দফতরে কেন অহেতুক চলবে এসি, সরকারি কর্তাদের প্রশ্ন মমতার
উত্তরবঙ্গে গিয়েও প্রশাসনিক কর্তাদের একই বার্তা দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বললেন, অহেতুক খরচ রুখতে হবে। উদাহরণ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার রাতে তিনি ছিলেন উত্তরকন্যার অতিথিনিবাস কন্যাশ্রীতে। সেখানে তিনি দেখেন অপ্রয়োজনীয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রন যন্ত্র চলছে একাধিক ঘরে। তখুনি সেগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য সরকারের ব্যায় সংকোচ অভিযানে এবার নিজেই নজির স্থাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারি দফতরে অহেতুক বাতানুকূল যন্ত্র ব্যবহারে রাশ টানার নির্দেশ দিলেন তিনি। বুধবার উত্তরকন্যায় আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে এই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্য সরকারের ব্যায় কমিয়ে সেই টাকা কী ভাবে উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে চলতি মাসেই নবান্নে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের তাবড় আমলারা। প্রত্যেক দফতরকে খরচ কমাতে নির্দেশ দেন তিনি। অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে সেই টাকা রাজ্যের উন্নয়নে ব্যায়ে রূপরেখা ঠিক করেন তিনি।
উত্তরবঙ্গে গিয়েও প্রশাসনিক কর্তাদের একই বার্তা দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বললেন, অহেতুক খরচ রুখতে হবে। উদাহরণ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার রাতে তিনি ছিলেন উত্তরকন্যার অতিথিনিবাস কন্যাশ্রীতে। সেখানে তিনি দেখেন অপ্রয়োজনীয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রন যন্ত্র চলছে একাধিক ঘরে। তখুনি সেগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, গরমে অস্বস্তি হলে এসি চালাতেই হবে। কিন্তু যে ঘরে কেউ নেই সেখানে এসি চালিয়ে রাখা নিরর্থক। তাই অপচয় বন্ধ হওয়া উচিত।
দিনহাটার পর সিতাই, কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোঁদলে অবাধে চলল গুলি-বোমা
ওয়াকিফহাল মহলের মতে, নানা দিক থেকে খরচের চাপে নাজেহাল রাজ্য সরকার। ঋণবাবদ কেন্দ্র ও অন্যান্য সংস্থার বকেয়া তো রয়েছেই। সঙ্গে সম্প্রতি রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা পরিশোধের কথা ঘোষণা করেছে নবান্ন। সব মলিয়ে সংসার সামলাতে এবার বাজে খরচে রাশ টানতে চাইছেন মমতা।