Son Kills Father: দিনের পর দিন পারিবারিক অশান্তি, বৃদ্ধ বাবাকে পিটিয়ে মারল ছেলে
Son Kills Father: পৃথক দুটো মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ির ধুপগুড়িতে। শনিবার সাত সকালে ধুপগুড়িতে বাড়ির অদূরে রাস্তার পাশ থেকে এক অবসরপ্রাপ্ত বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল
প্রদ্যুত্ দাস: পারিবারিক অশান্তির জেরে ছেলের হাতে খুন হল বাবা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানে। বাগানের বড় লাইন এলাকায় পরিবারের সদস্যদের সামনেই মদ্যপ বাবাকে পিটিয়ে মারল ছেলে।
আরও পড়ুন-ডাক্তারিতে সাফল্যর উপায় সার্চ নেটে! জন্মদিনের আগেই অস্বাভাবিক মৃত্যু জুনিয়র ডাক্তারের
ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। অভিযোগ, ছেলে বিনু ওরাওঁ তার মদ্যপ বাবাকে পিটিয়ে মেরেছে। দীর্ঘদিন ধরেই মদ্যপ বাবার অত্যাচার চলছিল বলে অভিযোগ। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাবাকে লাঠি দিয়ে মারধর করে বিনু। সেই লাঠির আঘাতেই মৃত্যু হয় বাবা পালসু ওরাওঁঁয়ের। পালসুর দ্বিতীয় ছেলে ভাদুয়া ওরাওঁ শনিবার বাবার মৃত্যুর জন্য বিনু ওরাঁকে দায়ী করে। এই নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোল শুরু হয়। মৃত পালসু ওরাওঁঁয়ের বয়স ৬৫। ডেঙ্গুয়াঝার চা বাগানের প্রাক্তন শ্রমিক তিনি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিস। অভিযুক্ত বিনু ওরাওঁকে আটক করেছে পুলিস। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন তারা। মৃতদহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
অন্যদিক, পৃথক দুটো মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ির ধুপগুড়িতে। শনিবার সাত সকালে ধুপগুড়িতে বাড়ির অদূরে রাস্তার পাশ থেকে এক অবসরপ্রাপ্ত বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃতা ধুপগুড়ি পুরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের সূর্যসেন কলোনির বাসিন্দা। অবসর নিয়েছিলেন কিছুদিন আগে। নাম পুষ্পা গায়েন (৭০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে প্রতিবেশীরা রাস্তার পাশে বস্তা ঢাকা অবস্থায় একটি দেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায়। এরপর খবর দেওয়া হয় ধুপগুড়ি থানার পুলিসকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ধুপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙার নেতৃত্বে পুলিস বাহিনী। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। তবে কী কারনে মৃত্যু হয়েছে তা কিন্তু এখনও সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। ময়না তদন্তের পরেই জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ। প্রতিবেশীদের অনুমান তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে বয়স্ক মহিলার মৃত্যুর পিছনে আসল রহস্য কি রয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে ধুপগুড়ি থানার পুলিস।
অপরদিকে ধুপগুড়ি ব্লকের সাঁকোয়াঝোরা দুই নং গ্রাম পঞ্চায়েত মল্লিক শোভা এলাকায় এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পরিবার সূত্রে জানা যায় শনিবার সকালে হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে বাড়ির লোক দেখে ঘরে নেই ওই ব্যক্তি। তারপর শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। পরে স্থানীয়রা বাড়ির পাশেই পুকুরে মৃত দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। খবর ধূপগুড়ি থানার পুলিস এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যান। তবে খুন না আত্মহত্যা গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে ধুপগুড়ি থানার পুলিস। মৃত ব্যক্তির নাম শান্তি রায় বয়স (৬০)