Hooghly: সামান্য বচসার জেরে মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত, হাসপাতালে মৃত্যু! কী হল অভিযুক্তের?

Hooghly: মদ্যপ অবস্থায় গালাগালি দেওয়া নিয়ে মাজিদ আনসারি নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে, বচসা থেকে মারামারি হয়। এদিকে অমল ও মাজিদ পরস্পর আত্মীয়। যাই হোক, বচসার মাঝেই খেটো বাঁশ দিয়ে অমলের মাথায় ঘা বসিয়ে দেন মাজিদ।

Updated By: Mar 23, 2024, 04:08 PM IST
Hooghly: সামান্য বচসার জেরে মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত, হাসপাতালে মৃত্যু! কী হল অভিযুক্তের?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির সঙ্গে বচসা, তা থেকে মারামারি। হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় আহতকে। পরে সেখানেই মৃত্যু। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য এলাকায়। কী ঘটেছে, কোথায়? 

আরও পড়ুন: Malbazar: চা-বাগানে খালি হাতেই চিতাবাঘের সঙ্গে লড়াই করলেন ভয়ংকর সাহসী মহিলা...

পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার ১৮ মার্চ বিকেলে মোগলটুলিতে সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় পড়ে যান অমল খান নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগ, পড়ে গিয়েই অকথ্য গালাগালি শুরু করেন তিনি। এদিকে মদ্যপ অবস্থায় গালাগালি দেওয়া নিয়ে মাজিদ আনসারি নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে, বচসা থেকে মারামারি হয়। প্রসঙ্গত, অমল ও মাজিদ পরস্পর আত্মীয়। যাই হোক, বচসার মাঝেই খেটো বাঁশ দিয়ে অমলের মাথায় ঘা বসিয়ে দেন মাজিদ। রক্তাক্ত অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ রাস্তার ধারে পড়ে থাকার পরে আহত অমলকে ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়।

গতকাল, শুক্রবার অভিযুক্ত মাজিদের বাড়িতে ভাঙচুর চলে। আহতের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ইমামবাড়া হাসপাতালের আইসিইউতেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। আজ, শনিবার সকালে মাজিদের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবরে প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। আসলে মৃত্যু আজ নয়, আগেই হয়েছে--এই দাবি তোলে মৃতের পরিবার। পুলিস অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি কেন, এই অভিযোগ তুলে ইমামবাড়া হাসপাতালের সামনে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন মৃতের পরিজন ও মোগলটুলির বাসিন্দারা। তবে চুঁচুড়া থানার আইসি রামেশ্বর ওঝা পুলিস বাহিনী নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ সরিয়ে দেন।

মৃতের স্ত্রী মৌসুমী বিবি বলেন, 'ঘটনার দিন আমাকে ফোন করে ডাকা হয়। হাসপাতালে গিয়ে দেখি, ওঁর মাথায় দশটা সেলাই পড়েছে। স্বামীর তখন জ্ঞান নেই। কী হল, ওঁকে বাঁচাতে পারলাম না। নেশা করত বলে আমার সঙ্গে অশান্তি হত। আমি বলেছিলাম, শুধরে যাও। গত পাঁচ মাস আমি স্বামীর ঘরে ছিলাম না, মা-বোনের বাড়ি থাকতাম। আমাকে বলত, বাড়িতে চলে এসো।' অমল খানের ভাই সেখ শওকত বলেন, 'আমার দাদাকে পিটিয়ে মেরেছে মাজিদ আনসারি। অভিযুক্তকে পুলিস এখনও ধরতে পারেনি। আমরা কিছু বলতে গেলেই ভয় দেখাচ্ছে।'

আরও পড়ুন: Kalbaishakhi: দোলের রং ফিকে, জোরাল কালবৈশাখির আতঙ্কে বাংলা...

পুলিসসূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার অভিযোগের পর থেকেই অভিযুক্তের খোঁজ চালানো হচ্ছে। গতকাল রাতেও বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলে। তবে অভিযুক্ত এখনও ফেরার। তার নাগাল পাওয়া যায়নি।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.