ছেলের মৃত্যুরহস্য নিয়ে মিথ্যা দাবি বাবার, ধরা পড়ল চিকিত্সকের তত্পরতায়
চন্দনগর হাসপাতালে ছেলের দেহ এনে তিনি দাবি করেন যে জ্বর কমানো ওষুধের জেরেই মৃত্যু হয়েছে সুরেশের।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ছেলের গলায় স্পষ্ট কালো ফাঁসের দাগ। অথচ বাবার দাবি জ্বর সারাতে ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ খেয়েই মৃত্যু হয়েছে ছেলের। তখনই সন্দেহ হয়েছিল স্থানীয় হাসপাতালের চিকিত্সকদের। সেই মতোই পুলিসে খবর দেন তাঁরা। আর পুলিসের জেরার সামনেই বেরিয়ে পড়ে সত্যি। ছেলের আত্মহত্যার ঘটনা লোকাতে এভাবেই চিকিত্সকের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করলেন এক বাবা।
রবিবার ঘটনাটি হয়েছে হুগলীর ভদ্রেশ্বর থানার খুড়িগাছির নতুন পাড়া। স্থানীয় ইংরাজী মাধ্যম স্কুলে চতূর্থ শ্রেণীতে পড়ত সুরেশ কুমার যাদব। রবিবার সকালে তার ঘরের সিলিং থেকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সুরেশের বাবা। এর পরেই অবশ্য অন্য গল্প ফাঁদেন তিনি। চন্দনগর হাসপাতালে ছেলের দেহ এনে তিনি দাবি করেন যে জ্বর কমানো ওষুধের জেরেই মৃত্যু হয়েছে সুরেশের।
আরও পড়ুন: ভরা আশ্বিনেও থাকবে বর্ষার ভ্রুকুটি, ভাসতে পারে পুজোও
সুরেশের গলায় ফাঁসের দাগ দেখেই সন্দেহ হয় চিকিত্সকদের। সঙ্গে সঙ্গে পুলিসে খবর দেওয়া হয়। পুলিসের কাছে জেরায় মৃতের বাবার জানায়, ওষুধের জন্য নয়, গলায় ফাঁস দিয়েই আত্মঘাতী হয়েছে ছেলে। শনিবারই ছেলের দাবি মতো সাইকেলও কিনে দেন তিনি।
প্রশাসনের তরফে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ঘটনাটি আদৌ আত্মহত্যা নাকি এর পেছনে আরও কিছু জড়িত, তা জানতে খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।