ভাঙড়ের নাম খারাপের পিছনে বদমেজাজি, রগচটারা! আরাবুলকে পাশে নিয়ে কড়া বার্তা মিমির
আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির পর থেকেই অশান্ত ভাঙড় । ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আইএসএফ কর্মীরা। গত শনিবারের খণ্ডযুদ্ধের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট গ্রেফতার ৪। ৩০ জানুয়ারি ভাঙড়ে সিপিএমের প্রতিবাদ মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিস।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রগচটা, বদমেজাজিদের জন্য ভাঙড়ের নাম খারাপ হচ্ছে। আরাবুল ইসলামকে পাশে নিয়ে কড়া বার্তা তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর। মিমির কথায়, কিছু মানুষের বজমেজাজ, রগচটা কথার জন্য বদনাম। হাতে গোনা দুই-তিন জনের জন্য ভাঙড়ের বদনাম। তাঁদের ব্যক্তিগত ঝামেলার জন্য এই অবস্থা ভাঙড়ের। আরাবুলের পাশে দাঁড়িয়ে অভিনেতা সাংসদ বলেন, 'কিছু মানুষের জন্য ভাঙড়ের নামটা খারাপ হয়। কিছু মানুষের বদমেজাজের জন্য, কিছু মানুষের হিংসার জন্য, কিছু মানুষের রগচটা কথাবার্তার জন্য... হাতে গোনা দু-তিন জনের জন্যই বাইরের মানুষ বলে যে ভাঙড়ে এই হচ্ছে, ভাঙড়ে ওই হচ্ছে। আজকে যদি তেমনটাই হত, তাহলে আজকে ভাঙড়ে এখানে তো আমি নির্বিঘ্নে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম না! আমি সবাইকে এটাই অনুরোধ করব যে, আপানাদের ব্যক্তিগত অ্যাজেন্ডাকে মানুষের পরিষেবার মাঝখানে আনবেন না। আমরা সবাই এখানে দাঁড়িয়ে আছি, শুধু মানুষকে পরিষেবা দেব বলে।'
প্রসঙ্গত, গত শনিবার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির পর থেকেই অশান্ত ভাঙড় । বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলনে নেমেছেন আইএসএফ কর্মীরা। ক্যানিংয়ের তালদি এলাকায় মৌন মিছিল করে আইএসএফ। মিছিলে পা মেলান মহিলারাও। নওশাদের মুক্তি না মিললে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আইএসএফ কর্মীরা। ওদিকে, ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফ ও পুলিসের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধের ঘটনায় আরও এক আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে কাশীপুর থানার পুলিস। ধৃত যুবকের নাম আরাবুল মোল্লা। সেদিনের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই অভিযুক্ত আরাবুল মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। এই নিয়ে সেদিনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট গ্রেফতার ৪।
ওদিকে ভাঙড়ে সিপিএমের প্রতিবাদ মিছিলের অনুমতি দিল না পুলিস প্রশাসন। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য রশিদ গাজী জানান, ভাঙড়ে ঘটকপুকুর চৌমাথা থেকে কাঠালিয়া চৌমাথা পর্যন্ত ৩০ জানুয়ারি সিপিএমের এক প্রতিবাদ মিছিল হওয়ার কথা ছিল। মূলত নওশাদ সিদ্দিকির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল ছিল। মিছিলের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ও মহম্মদ সেলিমের। কিন্তু মিছিলের অনুমতি দেয়নি ভাঙড় থানার পুলিস। পুলিসের তরফে বলা হয়েছে, ওই দিন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। তবে সবটাই ইচ্ছাকৃত। শাসকদল প্রশাসনকে ব্যবহার করে তাদের মিছিলের অনুমতি দেয়নি বলে তোপ দাগেন তিনি।