সোম থেকে শুক্র, নিম্নচাপের জেরে নাগাড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করল আবহাওয়া দফতর
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে ফের নাগাড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতে। রবিবার এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। নিম্নচাপের জেরে সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও ছত্তিসগড়ের একাংশে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে ফের নাগাড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতে। রবিবার এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। নিম্নচাপের জেরে সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও ছত্তিসগড়ের একাংশে।
উপগ্রহ পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের কাছে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। যা আগামী সোম বা মঙ্গলবার সেই ঘূর্ণাবর্তটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। যা পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর বা ওড়িশার বালেশ্বর জেলা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে।
এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও ছত্তিসগড়ের একাংশে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৩৫ - ৫৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ে হাওয়া বইতে পারে। উত্তাল হবে সমুদ্র। ফলে উপকূলবর্তী এলাকার মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
নিউটাউনে ‘সিলিকন ভ্যালি’, রাজ্যের ১০ হাজার কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি
অগাস্টের প্রথম সপ্তাহেই ঠিক একই রকম একটি নিম্নচাপের জেরে ভেসেছিল দক্ষিণবঙ্গ। একটানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে কলকাতা-সহ জেলার বিভিন্ন এলাকা। এক দিনে ৩০০ মিলিমিটারের বেশি বর্ষণে বাঁকুড়া শহরে বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। জলের তোড়ে ভেসে যায় পাকা বাড়ি।
তবে টানা বৃষ্টিতে হাসি ফুটেছে কৃষিজীবী মানুষের মুখে। অগাস্টের বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গে পূরণ হয়েছে মৌসুমি বৃষ্টির ঘাটতি। ফলে বহু এলাকায় পুরো দমে শুরু হয়ে গিয়েছে চাষের মরশুম। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি এখনো পূরণ হয়নি।