মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় ছাড়তেই সংঘাতের পথে মোর্চা
মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় ছাড়তেই সংঘাতের পথে মোর্চা। সোমবার থেকে লাগাতার অর্থনৈতিক অবরোধ। সব সরকারি অফিস ও ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখার ডাক দেওয়া হল। পাহাড় ও ডুয়ার্সে বাংলা বয়কটের ডাকও দিয়েছে মোর্চা। যদিও ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে সর্বাত্মক বনধের পথে যায়নি তারা।
ওয়েব ডেস্ক : মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় ছাড়তেই সংঘাতের পথে মোর্চা। সোমবার থেকে লাগাতার অর্থনৈতিক অবরোধ। সব সরকারি অফিস ও ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখার ডাক দেওয়া হল। পাহাড় ও ডুয়ার্সে বাংলা বয়কটের ডাকও দিয়েছে মোর্চা। যদিও ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে সর্বাত্মক বনধের পথে যায়নি তারা।
সংঘাতে গেল মোর্চা। তবে পুরোটা নয়। সোমবার থেকে পাহাড়ের সব রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস বন্ধ রাখার ডাক। রাজ্যের রাজস্ব আদায় হয় এমন প্রতিটি ক্ষেত্রেই বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। সোম ও বৃহস্পতিবার ছাড়া প্রতিদিন ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখার ডাক। ২৭ থেকে ৩০ জুন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সব অফিস খোলা রাখার ডাক দিয়েছে মোর্চা। প্রতি বৃহস্পতি ও রবিবার পাহাড়জুড়ে প্রতিবাদ মিছিল বের করবে মোর্চা।
আরও পড়ুন- মোর্চাকে আরও কোণঠাসা করতে তৈরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রতি সোমবার সন্ধেয় পাহাড়ের বিভিন্ন ব্লকে মশাল মিছিল বের করা হবে। রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতটা জাতীয় স্তরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও হয়েছে। বিমল গুরুং বা মোর্চা কোনও নেতাই অবশ্য GTA-র পদ থেকে এখনও ইস্তফা দেননি। গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সামনে রেখে ১৩ জুন সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মোর্চা। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে তা দিল্লি পাঠানোর কর্মসূচি স্থির হয়েছে। পৃথক রাজ্যের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করবেন মোর্চার প্রতিনিধিরা।
মোর্চার তরফে দাবি করা হচ্ছে তাদের আন্দোলন অহিংস ও গণতান্ত্রিক। কিন্তু, সরকারি কর্মীরা কাজে যেতে চাইলে কী হবে? কী হবে পুলিস যদি বাধা দেয়? মোর্চার আন্দোলন শেষ পর্যন্ত কী রূপে আত্মপ্রকাশ করে তা বোঝা যাবে সোমবার।