Nairobi Fly: বাড়ছে নাইরোবি ফ্লাইয়ের আতঙ্ক, রায়গঞ্জ-মালবাজারে আক্রান্ত বেশ কয়েকজন
গতকালই ইসলামপুরের রামগঞ্জে এক পুলিস কর্মীর নাইরোবি ফ্লাই বা অ্যাসিড পোকার আক্রমণের খবর সামনে আসে
ভবানন্দ সিংহ ও অরূপ বসাক : ইসলামপুরের পর এবারে রায়গঞ্জেও নাইরোবি ফ্লাই বা অ্যাসিড পোকার আক্রমণের শিকার বেশ কয়েকজন। অন্যদিকে, ফের জলপাইগুড়ির মাল ব্লকে আক্রান্ত ৩ জন। ফলে উত্তরবঙ্গে এই পোকার আক্রমণ নিয়ে মানুষের আতঙ্ক বাড়ছে।
রায়গঞ্জ শহরের এক শিক্ষক ও চিকিৎসকের স্ত্রী এই বিষ পোকার আক্রমণে আক্রান্ত। সরকারি উদ্দ্যোগে পোকার চরিত্র ও ঘটনার কারণ খুঁজতে জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি চিকিৎসক মহলের।
গতকালই ইসলামপুরের রামগঞ্জে এক পুলিস কর্মীর নাইরোবি ফ্লাই বা অ্যাসিড পোকার আক্রমণের খবর সামনে আসে। আর তারপর রামগঞ্জ পুলিস ফাঁড়ি ও হাসপাতাল এলাকায় কীটনাশক স্প্রে করেন স্থানীয়রা।
রায়গঞ্জ শহরের উকিলপাড়ায় সৌরভ গুহ নামে ওই শিক্ষক তার ডান দিকে ঘাড়ে অসহ্য যন্ত্রণা ও শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করছেন বলে জানান। অন্যদিকে তুলসীতলা এলাকায় চিকিসকের স্ত্রীও আক্রান্ত। আরো বেশ কয়েকজনের আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কিছু শিশুও আছে। বর্তমানে প্রত্যেকেই চিকিৎসাধীন।
পোকাটি মুলত উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের ঘন জঙ্গল থেকেই লোকালয়ে উড়ে আসছে বলে মানুষের দাবি। আর সেই কারনে এখনও উত্তরেই ওই পোকার আক্রমণের ঘটনা সীমাবদ্ধ রয়েছে। তবে খুব দ্রুত সরকারের উদ্দ্যোগে বন দফতর, স্বাস্থ্য দফতর এমনকি উত্তরবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গবেষকদের নিয়ে বিশেষ টিম গঠন করে এই পোকার চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য, তার কেমিক্যাল অ্যানালিসিস করা খুব জরুরি, এতে চিকিৎসার ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে বলেই দাবি করছেন চিকিৎসকেরা। তবে এই অ্যাসিড পোকার আক্রমণ দিনেদিনে বৃদ্ধি পাওয়ার আতঙ্ক বাড়ছে।
এই পোকার অ্যাসিডে আক্রান্ত স্থানে ফোস্কা পড়ে যাচ্ছে, কখনও কালো হয়ে যাচ্ছে চামড়া। তবে পোকার বিষ চোখে পড়লে অন্ধত্বও হতে পারে বলে দাবি করেছেন চিকিৎসক। এনিয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পুরন শর্মার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি সবটা শুনে জানান, 'ব্যস্ত আছি এখন কথা বলতে পারছি না।'
রায়গঞ্জের পাশাপাশি মাল ব্লকে অ্যাসিড পোকার আক্রান্ত ৩ জন। গত এক সপ্তাহে মাল ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই অ্যাসিড পোকার আক্রমণে অসুস্থ হয়েছেন ১৬-২০ জন। এমনটাই দাবি কর্তব্যরত চিকিৎসকদের।
শুক্রবার মাল ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৩ জন আক্রান্ত হয়ে আসেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আউট ডোরে। তিনজনকেই ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক দ্বীপ মজুমদার জানিয়েছেন। সাধারণ মানুষকে এনিয়ে সতর্ক থাকার কথা জানান তিনি।
মাল ব্লকের বাসিন্দা মনোরঞ্জন বর্মন বলেন, আমায় পায়ে দুজায়গায় অ্যাসিড পোকা লেগেছিল। প্রচন্ড জ্বালাপোড়া করছিল। এরপর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেয়ে এখন অনেকটা ভালো।
এব্যাপারে মাল ব্লকের বি এম ও এইচ দীপঙ্কর কর বলেন, এখন পর্যন্ত এই পোকায় আক্রান্ত হয়ে কোন রোগী ভর্তি নেই হাসপাতালে।চিকিৎসকেরা দেখে ওষুধ দিচ্ছেন। এই সময় মানুষজনকে ফুলহাতা জামা পরতে বলেন বি এম ও এইচ।
আরও পড়ুন-Cloudbrust: অমরনাথ গুহার কাছে মেঘভাঙা বৃষ্টি; ভেসে গেল পুণ্যার্থীদের বহু তাঁবু, মৃত কমপক্ষে ৯