Narendrapur Case: নরেন্দ্রপুরকান্ডে আগাম জামিনের আবেদন পলাতক প্রধান শিক্ষকের, তীব্র বিরোধিতা সব পক্ষের!
আইনজীবী জানিয়েছেন স্কুলে ঢোকার চাবি এক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর থেকে নিয়ে হামলা চালায় জনতা। হামলার পেছনে প্রধান শিক্ষকের কোনও মদত ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি। সরকারি আইনজীবির বক্তব্য, স্কুলের ভেতরে হামলা, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মারধর এবং তান্ডবের মাস্টারমাইন্ড প্রধান শিক্ষক। তিনি হুলিগানদের স্কুলে ঢুকিয়ে ভাঙচুর চালান এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মারধর করান।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নরেন্দ্রপুরের স্কুলকাণ্ডে অভিযুক্ত, ফেরার প্রধান শিক্ষক, সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ আগাম জামিনের আবেদন করলেন জেলা জজের আদালতে।
আদালতে জামিনের আবেদন করেন তারই ছোট ভাই এবং আইনজীবী সৈয়দ আরিফ আহমেদ।
আদালতে প্রধান শিক্ষকের আইনজীবী জানান, ওই স্কুলেরই একদল শিক্ষকের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন প্রধান শিক্ষক। স্কুলের অডিট আটকানোর জন্য হামলা চালানো হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন।
তিনি আরও জানিয়েছেন ওই স্কুলেরই এক শিক্ষক, এক নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত। তিনি পলাতক রয়েছেন অনেকদিন। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ তার উপরই ছিল। সাধারণ মানুষ ওই শিক্ষকের উপরে ক্ষুব্ধ হয়েই স্কুলে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: Canning: প্রকাশ্যেই পাচার হচ্ছে ম্যানগ্রোভ! ভয়ংকর বিপন্ন হয়ে পড়ছে পরিবেশ...
আইনজীবী জানিয়েছেন স্কুলে ঢোকার চাবি এক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর থেকে নিয়ে হামলা চালায় জনতা। হামলার পেছনে প্রধান শিক্ষকের কোনও মদত ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, হামলার পেছনে মদত রয়েছে অনুমান করে এফআইআর-এ নাম ঢোকানো হয়েছে প্রধান শিক্ষকের। প্রধান শিক্ষককে আগাম জামিন দেওয়া হোক বলে আদালতে দাবি করেন তিনি।
সরকারি আইনজীবির বক্তব্য, স্কুলের ভেতরে হামলা, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মারধর এবং তান্ডবের মাস্টারমাইন্ড প্রধান শিক্ষক। তিনি হুলিগানদের স্কুলে ঢুকিয়ে ভাঙচুর চালান এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মারধর করান।
তিনি আরও বলেন দুষ্কৃতিরা শিক্ষিকাদেরও ছাড় দেয়নি। কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে প্রধান শিক্ষককে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। পরে ডিভিশন বেঞ্চ একই নির্দেশ দেয়। ‘জামিনের চূড়ান্ত বিরোধিতা করছি আমরা’ বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Elephant Attack: দেওয়াল ভেঙে সাবাড় মিড ডে মিলের চাল! হাতির উপদ্রবে সমস্যায় স্কুল
আক্রান্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের তরফে আইনজীবী জানান, প্রধান শিক্ষক স্কুলের সবাইকে গায়ের জোরে চুপ করিয়ে রাখতেন। তার করা অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যেত না বলে তাঁদের দাবি।
তাঁরা আরও জানিয়েছেন, ‘যারাই প্রতিবাদ করতেন তাদের বদলির ব্যবস্থা করে দিতেন উনি। স্কুলে দীর্ঘদিন অডিট করা হয়নি। আদালত পরে নির্দেশ দিয়েছিল অডিট করার। অডিটের জন্য স্কুলে গিয়েছেন, উনি অডিট আটকানোর চেষ্টা করেছেন নিজের প্রভাব খাটিয়ে। নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের’।
আইনজীবী আরও জানান, ‘এখনও মুখ বন্ধ রাখার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে প্রত্যেকদিন। জামিনের বিরোধিতা করছি’।
সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে রায়দান আপাতত স্থগিত রেখেছেন বিচারক। অর্ডার রিজার্ভ করা হয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)