Glacial Lake Outburst: ভয়ংকর শব্দে দুরন্ত গতিতে এসে আছড়ে পড়ল বরফের বিশাল পাহাড়! তারপর...
Nepal Glacial Lake Outburst: অনেকটা যেন কেদারের পুনরাবৃত্তি। তবে, এবার ফাটল হিমবাহ। ভয়ংকর গতিতে নেমে এল বিপুল বরফগলা জল। ঘটনাটি ঘটেছে নেপালে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অনেকটা যেন কেদারের পুনরাবৃত্তি। তবে, এবার ফাটল হিমবাহ। ভয়ংকর গতিতে নেমে এল বিপুল বরফগলা জল। ঘটনাটি ঘটেছে নেপালে। নেপালের এভারেস্ট অঞ্চলে শেরপাদের একটি গ্রাম এই বরফগলা জলের বন্যায় তলিয়ে গিয়েছে। তবে এতে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: Earthquake in Russia: তীব্র ভূমিকম্প সঙ্গে ভয়ংকর সুনামি-আতঙ্ক, ওদিকে আগুন ঝরছে আকাশ থেকে...
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সলুখুম্বু জেলায় থেম গ্রামটিতে ভয়াবহ এই বন্যা নেমে আসে। থেম গ্রামটি সমুদ্রপৃষ্ঠ ৩৮০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, হিমবাহ-হ্রদের তীর ভেঙে গ্রামটি প্লাবিত হয়েছে! বন্যাস্রোতে ঘরবাড়ি-সহ ১২টি ভবন, একটি স্কুল ও একটি ক্লিনিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
থেম গ্রামটি শেরপাদের গ্রাম বলে পরিচিত। এই গ্রামে রেকর্ডধারী অনেক শেরপা বাস করেন। সবচেয়ে তাৎপর্যপপূর্ণ হল-- প্রথম এভারেস্টজয়ী তেনজিং নোরগেও এই গ্রামেই জন্মেছিলেন।
নেপাল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র গৌরব কুমার কেসি বলেন, বন্যায় অন্তত ১৫টি ঘর ভেসে গিয়েছে। উদ্ধারকারী দল গ্রামবাসীকে নিরাপদ স্থানে যেতে সাহায্য করছে। নেপালের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আজ শনিবার সকালে হেলিকপ্টারে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
বন্যার কারণ খুব পরিষ্কার করে জানা যায়নি। তবে, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্ট তথা আইসিআইএমওডি-র (ICIMOD) জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ বলেন, হিমবাহের হ্রদ উপচে পড়ার কারণে এমনটা হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে আরও তথ্যসংগ্রহ করছেন। যাতে এই বিপর্যয়ের প্রকৃত কারণ জানা যায়।
কিন্তু একটা বিষয়ে সকলে একমত যে, আবহাওয়ার বিপর্যয়ের কারণেই এমন ঘটেছে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমালয়ের হিমবাহ গলে হ্রদ তৈরি হচ্ছে। প্রায়ই এগুলির তীর তৈরি হয় আলগা পাথর ও কোনো কিছুর ধ্বংসাবশেষ দিয়ে। তা তেমন মজবুত হয় না। ফলে সেগুলি ভেঙে পড়ে।
আরও পড়ুন: R G Kar Incident: 'কীর্তিমান' সঞ্জয়ের আরও একটি কীর্তি প্রকাশ্যে...তদন্তকারীরা নিচ্ছেন এই রাস্তা
গত কয়েক দশকে হিমালয়ের হিমবাহ গলে শত শত হিমবাহ হ্রদ তৈরি হয়েছে। ২০২০ সালে আইসিআইএমওডির একটি প্রতিবেদনে নেপালে ২০৭০টি হিমবাহ হ্রদের কথা বলা আছে। যার মধ্যে ২১টি হিমবাহই ঝুঁকিপূর্ণ!