বাংলা-কেরল ছাড়াও দক্ষিণের ৪ রাজ্যে আল-কায়দার জাল! তদন্তে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য
দক্ষিণ ভারতে AQIS-এর গতিবিধির খোঁজ পাওয়ার পাশাপাশি NIA-এর তদন্তকারীদের হাতে এসেছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন : শুধু পশ্চিমবঙ্গ বা কেরল নয়, দক্ষিণ ভারতের আরও রাজ্যে জাল বিস্তার করছিল আল-কায়দা। কেরলের পাশাপাশি তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, ব্যাঙ্গালোর ও তেলেঙ্গনাতেও AQIS-এর গতিবিধির হদিশ পেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তে উঠে এসেছে, দক্ষিণ ভারতের এই সব রাজ্যেই অবাধ যাতায়াত ছিল আল-কায়দার সদস্যদের।
প্রসঙ্গত, ধৃতদের জেরা করে ও বাজেয়াপ্ত সামগ্রী খতিয়ে দেখে এর আগেই সামনে এসেছে যে, ভারতে বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিল আল কায়দার ভারতীয় উপমহাদেশীয় শাখা, যার নাম al-Qaeda in the Indian Subcontinent (AQIS)। আর এই কাজে তারা ব্যবহার করতে চাইছে এখানকারই ভূমিপুত্রদের। সেই লক্ষ্যেই চলছিল মগজধোলাই। আল কায়দার ভারতীয় উপমহাদেশীয় শাখা অর্থাত AQIS-এর লক্ষ্য একটাই-পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভারত, মায়ানমার ও বাংলাদেশ নিয়ে এক বৃহৎ ইসলামিক রাষ্ট্র গঠন।
দক্ষিণ ভারতে AQIS-এর গতিবিধির খোঁজ পাওয়ার পাশাপাশি NIA-এর তদন্তকারীদের হাতে এসেছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ধৃত জঙ্গি আবু সুফিয়ানের ফোন ঘেঁটে গজবাওয়া-এ-তুল-হিন্দ নামে ২২ সদস্যের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের হদিশ আগেই পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সাংকেতিক ভাষায় এই গ্রুপের মাধ্যমে জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে কথোপকথন চালাত। সেই সাংকেতিক ভাষা ডিকোড করার চেষ্টা করছেন এনআইএ-এর তদন্তকারী অফিসাররা।
পাশাপাশি এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য, এমন বেশ কয়েকজনের খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু হয়েছে। এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেই তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০১৯ সালে কলকাতা পুলিসের এসটিএফএর হাতে ধরা পড়া AQIS-এর সদস্য রবিউলের সঙ্গে ধৃতদের যোগাযোগ ছিল। আর এটাই প্রমাণ করে যে ধৃত জঙ্গিদের সঙ্গে AQIS-এর নিবিড় সংযোগ ছিল।
আরও পড়ুন, 'মানুষ মারার জন্য এগুলো যথেষ্ট', 'মিনি অ্যাটাক' করে 'টেরর স্ট্রাইক' করাই ছিল জঙ্গিদের পরিকল্পনা!