Kalimpong landslide: ধসে বিধ্বস্ত পাহাড়, ঘন ঘন ভাঙনে বাড়ছে আতঙ্ক
রীতিমত আতঙ্ক গ্রাস করেছে পাহাড়বাসীকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: টানা বর্ষণের জের এখনও পোহাতে হচ্ছে পাহাড়বাসীকে। প্রবল বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর, স্রোত বৃদ্ধির ফলে পাহাড়ে এখনও অব্যাহত ধস৷ এই আবহে রীতিমত আতঙ্ক গ্রাস করেছে পাহাড়বাসীকে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সমস্যাও। গত এক সপ্তাহ আগে প্রবল বৃষ্টি পাতের কারণে এখনও পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ধস নামছে। আর এতেই সমস্যা বাড়ছে পাহাড়ি এলাকায়। এরকমই ছবি দেখা গেলো কালিম্পং জেলার চুইখিম এলাকায়।
কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে বাগ্রাকোট থেকে চুইখিম হয়ে নাথুলা বর্ডার পর্যন্ত নতুন ফোর লেনের রাস্তা হচ্ছে। যার ফলে বিভিন্ন ঠিকাদার সংস্থাগুলিকে পাহাড় কেটে নতুন রাস্তা তৈরি করতে হচ্ছে। যাত্রী সুবিধার্থে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধি করতেই এই কাজ। কিন্তু গত এক সপ্তাহ আগে প্রবল বৃষ্টি পাতের কারণে সেই কাজ করতে যে কেবল সমস্যা বেড়েছে তা নয়, যখন তখন ধসের আতঙ্কও বাড়ছে।
আরও পড়ুন, Weather Today: শীতের শুষ্ক আবহাওয়া বাংলায়, রাতের শহরে কমবে তাপমাত্রা
এই ধসের ফলে সমস্যা বেড়েছে এই সব এলাকার বাসিন্দাদের। কারণ মাঝে মধ্যেই রাস্তার ওপর ভেঙে পড়ছে মাটি-পাথর-গাছপালা। আর তখনই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে যাতায়াতের রাস্তা। এরকম পাহাড়ি ধসের ফলে নব নির্মিত বহু গার্ডওয়াল ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাহাড়ি শাল, পাইনের মত গাছের। এমনিতে নতুন রাস্তা তৈরি এবং বৃষ্টির ফলে কাদা হওয়ায় সমস্যা আরও বাড়ছে। সমস্যা হচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে পর্যটকদেরও। অনেক সময় রাস্তা তৈরির সময় পাহাড় কাটতে গিয়েও বড় বড় পাথুরে অংশ রাস্তার ওপর এসে পড়ছে। এর জেরে গাড়ি চলাচলও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
বৃষ্টির ভ্রুকুটি না থাকলে ধীরে ধীরে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে, এমনটাই দাবি। কিন্তু বৃষ্টি হলেই আবার ধস নামলেই ফের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে গোটা এলাকা।এখনও বিভিন্ন এলাকায় ধস সরানো কাজ চলছে। এব্যাপারে এই রাস্তার কাজে নিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার বি.কে.বাগেস বলেন, "বৃষ্টির কারণে মাঝে মধ্যেই ল্যান্ডস্লাইড হচ্ছে। তবে আমরা দ্রুত রাস্তা পরিষ্কার করে দিচ্ছি। যাতে এলাকার মানুষ এবং পর্যটকদের অসুবিধা না হয়।"