"অহংকার নয়, মাথা নিচু করে কাজ করে যাব", উপনির্বাচনে জয়ের পর বিনয়ী মমতা
বিজেপিকে কটাক্ষ করে মমতার পরামর্শ, "ধ্বংসাত্মক কাজ করবেন না, সংবিধানকে ধ্বংস করবেন না। সব বর্ণ ধর্ম নিয়েই আমাদের দেশ। সবাই মিলে আমরা এই দেশে বসবাস করি। দেশের এই ফাউন্ডেশন কেউ নষ্ট করতে পারে না।"
নিজস্ব প্রতিবেদন: "আজকের রায়ের পর দলের কাজ এবং দায়িত্ব দুই-ই বেড়ে গেল", উপনির্বাচনে ৩ কেন্দ্রে জয়লাভের পর আত্মবিশ্বাসের সুরই শোনাগেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। শুরু থেকে হাওয়া সেই দিকেই বইছিল। বেলা বাড়তেই স্পষ্ট হয়ে গেল তৃণমূলের জয়। উপনির্বাচনে করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ, খড়্গপুর সদর তিন কেন্দ্রেই জয় পেল গেল তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পর কার্যত দাঁড়ালো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। করিমপুর ছিলই পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জ ও খড়্গপুরের মতো কেন্দ্রে প্রথমবার জয়ের স্বাদ পেল তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার ফলাফল প্রকাশের পর নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন "অহংকার নয়, মাথা নিচু করে কাজ করে যাব।" এ দিন বিজেপিকে কটাক্ষ করে মমতার পরামর্শ, "ধ্বংসাত্মক কাজ করবেন না, সংবিধানকে ধ্বংস করবেন না। সব বর্ণ ধর্ম নিয়েই আমাদের দেশ। সবাই মিলে আমরা এই দেশে বসবাস করি। দেশের এই ফাউন্ডেশন কেউ নষ্ট করতে পারে না।"
নবান্নের বৈঠকে লোকসভা নির্বাচনের স্মৃতি তুলে তিনি বলেন "আমার বিশ্বাস, লোকসভা নির্বাচনে ওরা কিছু করেছিল। যখন প্রাইভেট অপারেটররা কাজ করে তখন কিছু তো সন্দেহ থেকেই যায়।
লোকসভা নির্বাচনের পরে আমরা অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছি। বিজেপি বড় বড় কথা বলেছে, এজেন্সির ভয় দেখিয়েছে। তবে জনতাই শেষ কথা।"
আরও পড়ুন: তিনে তিন করার পথে তৃণমূল, খড়্গপুর, কালিয়াগঞ্জ ও করিমপুরে এগিয়ে ঘাসফুল
মহারাষ্ট্র নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন নেত্রী, তাঁর কথায়, "মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গ দুই রাজ্যের মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দা বেসরকারিকরণের নীতি ব্যাঙ্ক-বীমা, বিএসএনএলের মতো একের পর এক ঘটনা মানুষকে বিজেপির বিরোধী করছে।" তাঁর কথায়,মহারাষ্ট্রের ৩ পাটি একসঙ্গে কাজ করবে। আশা করব স্থায়িত্বর জন্য কাজ করবে। মানুষের জন্য কাজ করবে।
লোকসভা নির্বাচনে ভোটারদের অনেকেই মোদীর ওপর ভরসা রাখলেও বিধানসভা উপ-নির্বাচনে তিন কেন্দ্রের মানুষ দিদির ওপরই আস্থা রাখলেন। সবমিলিয়ে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না এই ফলাফল ২০২১-এর আগে ঘাস-ফুল শিবিরে এনে দিল বাড়তি অক্সিজেন।