Swasthya Sathi: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডেও অতিরিক্ত ২০ হাজার দাবি, না পেয়ে মাঝপথেই বন্ধ অপারেশন!
রোগীকে অপারেশান টেবিলে তুলে অজ্ঞান করে ল্যাপরোস্কপি পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার শুরু করার পর পরিবারের লোকজনদের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও ফের হেনস্থার অভিযোগ নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল রোগীকে। অভিযোগ, নার্সিংহোমের দাবি মতো বাড়তি টাকা দিতে না পারায় অপারেশান মাঝপথেই থামিয়ে দেওয়া হয়। যদিও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডেই অস্ত্রোপচারের কথা ছিল। কিন্তু অপারেশান টেবিলে যখন রোগী, তখন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি মতো রোগীর পরিজনেরা অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকা দিতে না পারায়, মাঝপথেই থামিয়ে দেওয়া হয় অস্ত্রোপচার। এমনই অত্যন্ত অমানবিক অভিযোগ উঠেছে বাঁকুড়া শহরের গোবিন্দনগর এলাকার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বাঁকুড়া সদর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন রোগীর পরিজনেরা।
জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর এলাকার বাসিন্দা শেখ আলমগীর বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানতে পারা যায় যে তাঁর গলব্লাডারে পাথর হয়েছে। চিকিৎসকরা গলব্লাডারের পাথর অস্ত্রোপচার করে বের করে দেওয়ার পরামর্শ দেন রোগীর পরিজনদের। খোঁজ খবর নিয়ে সোমবার বাঁকুড়ার গোবিন্দনগর এলাকার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে রোগীকে অস্ত্রোপচারের জন্য ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা। রোগী স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ভর্তি হওয়ায় রোগীর কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়ার কথা নয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের।
কিন্তু রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, মঙ্গলবার রোগীকে অপারেশান টেবিলে তুলে অজ্ঞান করে ল্যাপরোস্কপি পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার শুরু করার পর পরিবারের লোকজনদের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। নার্সিংহোমের দাবি মতো রোগীর পরিজনেরা সেই টাকা দিতে না পারায়, অস্ত্রোপচার মাঝপথে থামিয়েই রোগীকে অপারেশান টেবিল থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অত্যন্ত অমানবিক এই ঘটনার পর নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে বাঁকুড়া সদর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন রোগীর পরিজনেরা। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ অবশ্য রোগীর পরিজনদের তরফে তোলা বাড়তি টাকা চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, ল্যাপরোস্কপি পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে চিকিৎসক দেখেন যে, ওই অস্ত্রোপচারে জটিলতা রয়েছে। এই অবস্থায় অস্ত্রোপচার করতে গেলে রোগীর জীবনের ঝুঁকি হয়ে যাবে। সেই কারণেই মাঝপথে অস্ত্রোপচার স্থগিত করা হয়েছে। এর সাথে টাকা দেওয়া বা না দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনায় তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে বাঁকুড়া সদর থানা। প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও যদি কোনও রোদীর পরিবারকে হেনস্থা করা হয়, তবে সেই বেসরকারি হাসপাতালে বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু তারপরেও যে ছবিটা খুব একটা বদলায়নি, তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই ঘটনা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)