Jalpaiguri: সেক্স ডল কিনতে গিয়ে জমি বিক্রি! শেষে 'প্রতারণার ফাঁদে' স্কুলশিক্ষক!
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্তের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এক স্কুল শিক্ষকের অভিযোগ, বিশেষ ধরনের এক চাইনিজ পুতুল (সেক্স ডল) কিনতে গিয়ে তিনি প্রতারণার জালে পড়েছেন। এই অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার এক ব্যক্তি। ঘটনায় চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজগঞ্জ থানার অন্তর্গত বেলাকোবা এলাকার এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে বিভিন্ন রকম ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ৩৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় ওই প্রতারক। দীর্ঘ দিন কেটে গেলেও পুতুল না পেয়ে থানায় অভিযোগ ওই শিক্ষকের। ঘটনার তদন্ত করে শিলিগুড়ির এক ডান্সবারের মালিক পবন দাস নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে রাজগঞ্জ থানার পুলিস। অভিযুক্তকে জলপাইগুড়ি আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিস ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে পাঁচ দিন মঞ্জুর করে আদালত।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে রাজগঞ্জ ব্লকের বেলাকোবা এলাকার এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিলিগুড়ির হংকং মার্কেটের একটি দোকানে সেক্স টয় কিনতে গিয়েছিলেন। দোকানদার তাঁকে বলেন, পুতুলটির অনেক দাম, বিদেশ থেকে আনাতে হবে। তিনি যদি অগ্রিম ১ লক্ষ টাকা দিয়ে বায়না করেন তবে তাঁরা পুতুলটি বিদেশ থেকে আনানোর ব্যবস্থা করবেন। শিক্ষক মশায় এই শর্তে রাজি হয়ে অগ্রিম টাকা দিয়ে দেন।
এরপর শুরু হয় প্রতারণার ফাঁদ পাতার কাজ। শিক্ষককে জানানো হয়, পুতুলটি তাঁর বাড়িতে ডেলিভারি দিতে যাওয়ার সময়ে রাস্তায় পুলিস ধরে ফেলে লাইনম্যানকে। পুলিসের জেরার মুখে লাইনম্যান শিক্ষকের নাম বলে ফেলেছেন। এবার পুলিসকে টাকা দিতে হবে। নইলে পুলিস গ্রেফতার করবে শিক্ষককে। এই ঘটনার অবতারণা করে শুরু হয় শিক্ষককে প্রতারণা। এবং এর সূত্রে দফায় দফায় তাঁর কাছ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়। এই টাকা মেটাতে জমি পর্যন্ত বিক্রি করেন ওই শিক্ষক। এরপর আর টাকা দিতে না পেরে রাজগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, একটি বিশেষ ধরনের পুতুল কিনতে গিয়ে এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক প্রতারকদের ফাঁদে পড়ে ৩৫ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন। এই মর্মে তিনি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তদন্ত করে পবন দাস নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়েছে।
যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে পবন দাস বলে, আমি কিছুই জানি না। আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।
(সেক্স টয় কেনাকাটা ভারতের বাজারে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ না হলেও এর উপর কিছু শর্ত আরোপিত আছে।)
আরও পড়ুন: Covid Restriction: বিয়েবাড়িতে কড়াকড়ি শিথিল; রাজ্যে বাড়ল বিধিনিষেধের মেয়াদ