মহারাষ্ট্র থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রাজ্যে ফিরছে একের পর এক ট্রেন
৪২টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন পাঠানোর কথা বলে মহারাষ্ট্র সরকার। রাজ্যের আপত্তিতে বাতিল হয় ২৫টি ট্রেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মহারাষ্ট্র থেকে রাজ্যে ঢুকছে একের পর এক শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন। ডানকুনি স্টেশনে ঘর ফেরতা শ্রমিকদের জন্য চূড়ান্ত তত্পরতা। গুজরাটের জামনগর থেকে ট্রেন পৌছেছে বাঁকুড়া, পুরলিয়ায়।বুধবার রাত থেকে মহারাষ্ট্র থেকে একের পর এক ট্রেন ঢুকছে রাজ্যে।
৪২টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন পাঠানোর কথা বলে মহারাষ্ট্র সরকার। রাজ্যের আপত্তিতে বাতিল হয় ২৫টি ট্রেন। এখন ১৭টি ট্রেনে ঘরে ফিরছেন আটকে পড়া রাজ্যের শ্রমিকরা মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ থেকে ফিরলে থাকতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে। বাকি ক্ষেত্রে উপসর্গহীন হলে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন।
কেউ মুম্বই, কেউ আবার নাগপুরে বা সোলাপুরে কাজে গিয়ে ছিলেন। ডানকুনি স্টেশনে নামার পরেও শ্রমিকদের মুখে লকডাউনে আটকে থাকার দুর্দশার আতঙ্ক ছিলই। ডানকুনি স্টেশনে নামার পর শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডানকুনি লোকো মোটিভ কারখানা ক্যাম্পাসে।সেখান থেকে নিজের এলাকায় ফিরছেন শ্রমিকরা। প্রশাসন সূত্রে খবর গন্তব্যে পৌছে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে।
পুরুলিয়ায় ফিরলেন শ্রমিকরা
গুজরাট থেকে বিশেষ ট্রেনে পুরুলিয়া ফিরলেন শ্রমিকরা। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর প্রায় ৭০ জন শ্রমিককে বিভিন্ন ব্লক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে।
ট্রেন এল বাঁকুড়ায়
পুরুলিয়া হয়ে বাঁকুড়া এল শ্রমিকদের ট্রেন। গুজরাটের জামনগর থেকে ফিরলেন আটকে পরা মানুষজন। এই ট্রেনে ফেরেন কিছু তীর্থ যাত্রীওবাঁকুড়া ছাড়াও দুই বর্ধমানের কিছু শ্রমিক ফিরেছেন এই ট্রেনে।
পৌঁছল মুম্বই-হাওড়া শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন
অন্যদিকে দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে হাওড়া স্টেশনে এসে পৌঁছল মুম্বই-হাওড়া শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন। আজ সন্ধে ৭ টা নাগাদ ট্রেনটি আসে। নামেন দুই চব্বিশ পরগনা, নদিয়া, হুগলি জেলার বাসিন্দারা। স্টেশনেই রাজ্য সরকারের মেডিকেল টিম তাঁদের থার্মাল টেস্ট করে। তাপমাত্রা পরীক্ষার পর তাঁদের বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। স্টেশনের বাইরে পরিবহণ দফতরের তরফে পর্যাপ্ত বাস রাখা হয়েছিল। অন্যদিকে, যে সমস্ত যাত্রীরা উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা বা দক্ষিণবঙ্গের উত্তর প্রান্তের জেলার বাসিন্দা তাঁদের জন্য ট্রেনটি ফের রওনা দেয় মালদার উদ্দেশ্যে।