সপ্তাহান্তে ট্যুরের পরিকল্পনা? সফর তালিকায় রাখতে পারেন বর্ধমানের গোলাপবাগ
সময় আর সুযোগের অভাবে অনেকেরই দূরে কোথাও যাওয়া হয় না। প্ল্যন ছকতে ছকতেই পেরিয়ে যায় সময়। তারপর সেই একঘেয়ে রোজনামচার চক্রবূহে জীবনযাপন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাতাসে শীতর আমেজ। আর শীতকাল মানেই ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ার পালা। অথচ সময় আর সুযোগের অভাবে অনেকেরই দূরে কোথাও যাওয়া হয় না। প্ল্যন ছকতে ছকতেই পেরিয়ে যায় সময়। তারপর সেই একঘেয়ে রোজনামচার চক্রবূহে জীবনযাপন। আপনিও যদি হন সেই তালিকারই তাহলে আপনার ডেস্টিনেশন হতেই পারে, বর্ধমানের গোলাপবাগ।
ডেস্টিনেশন গোলাপবাগ
এক থেকে দু দিনের ঝটিকা সফরের আদর্শ জায়গা বর্ধমানের গোলাপবাগ। কর্মব্যস্ত নাগরিক জীবনের থেকে একেবারে আলাদা। সবুজে ঘেরা গোলাপবাগ যেন ফ্রেশ অক্সিজেনের ভাণ্ডার। এখানে এলে শুধু শরীর নয়। মনের যাবতীয় ক্লান্তি যেন ম্যাজিকের মত উধাও হয়ে যাবে। যখন ফিরবেন, সঙ্গে নিয়ে যাবেন সবুজের সতেজতা।
কী আছে গোলাপবাগে?
গোলাপবাগ ছিল একসময় বর্ধমানের রাজার প্রমোদ কানন। অবসর সময় রাজা-রানীরা ঘুরে বেড়াতেন প্রকৃতির কোলে। বর্তমানে এখানেই রয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। মোরামের রাস্তায় পড়েছে পিচের প্রলেপ। গোলাপবাগকে ঘিরে রেখেছে পরিখা। জলের প্রতি কনায় রয়েছে ইতিহাসের হাতছানি। অন্যদিকে হাতের নাগালেই চিড়িয়াখানা।
কয়েক হাজার দুষ্প্রাপ্য বনস্পতির ছায়াপথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে অনায়াসে পৌছে যাবেন রমনার বাগানে। যা কিনা একসময় ছিল অভয়ারন্য। এখন মিনি জুয়ে পরিণত হয়েছে। আর আছে সায়েন্স সেন্টার।
কীভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে ট্রেনে বা বাসে সহজেই পৌছনো যায় বর্ধমান। সেখান থেকে টোটো বা অটোয় গোলাপ বাগ। সারাদিন ঘোরার পর খেতে ইচ্ছে হলে রয়েছে নানা বাজেটের রেস্তোরাঁ। থাকার জন্য বর্ধমান পুরসভা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি নিবাস তো আছেই, আর আছে অসংখ্য হোটেল এবং লজ। ভাড়াও পকেট ফ্রেন্ডলি।