Salap Murder case: মেয়ের উপরেও কুনজর ছিল সলপে নিহত রেলকর্মীর, সেই রোষেই খুনের ছক কষে স্ত্রী!
একটি বাসের মালিক ছিল সুরেশ। সেই বাস দেখাশোনা করত মিঠুন নামে এক তরুণ। তার সঙ্গে সুরেশের স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই মিঠুন আবার সুরেশের শ্যালিকার ছেলের বন্ধু। পথের কাঁটা সরাতে মিঠুও সুরেশকে খুনের ছক কষে।
দেবব্রত ঘোষ: হাওড়ার সলপে যুবক খুনে ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃত তিন জনের মধ্যে রয়েছে ওই যুবকের স্ত্রীও। দশমীর দিন সলপে ওই যুবকের বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। সেই বস্তার মধ্য়ে যুবকের মাথাটি ছিল না। একাধিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হয়েছিল। জানা যাচ্ছে সুরেশ সাউ নামে ওই তরুণ দক্ষিণ পূর্ব রেলের কর্মী। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু শুধুই কী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন নাকি অন্যকিছু কারণও রয়েছে ওই খুনের পেছনে? সুরেশের স্ত্রীকে জেরা করে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। সুরেশের স্ত্রীর দাবি, একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ফলে তাদের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে যায়। মাস তিনেক আগে সে তার স্বামীকে ছেড়ে চলে যায়।
আরও পড়ুন-পন্থের টানেই কি অস্ট্রেলিয়ায় উর্বশী! নায়িকার পোস্ট ঘিরে ফের জল্পনা
স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগের পাশাপাশি আরও যে অভিযোগ সুরেশের স্ত্রী রাজশ্বরী এনেছে তা চাঞ্চল্যকর। তার দাবি, নিজের এগারো বছরের মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চেয়েছিল সুরেশ। ওই কথা জানতে পেরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে রাজেশ্বরী। এনিয়ে সুরেশের সঙ্গে তীব্র বচসা হয় রাজেশ্বরীর। সেই আক্রোশ থেকেই এই খুন বলে রাজেশ্বরী পুলিসকে জানিয়েছে।
অন্যদিকে, একটি বাসের মালিক ছিল সুরেশ। সেই বাস দেখাশোনা করত মিঠুন নামে এক তরুণ। তার সঙ্গে সুরেশের স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই মিঠুন আবার সুরেশের শ্যালিকার ছেলের বন্ধু। পথের কাঁটা সরাতে মিঠুও সুরেশকে খুনের ছক কষে। পরিকল্পনা মতো সুরেশকে নিজের গ্যারেজে ডেকে খুন করে মিঠুন। পরে তার দেহ বস্তাবন্দি করে নিয়ে গিয়ে সলপে ফেলে আসা হয়। মাথা ফেলা হয় অন্য জায়গায়।
পুলিস জানিয়েছে গত ৫ অক্টোবর একটি মাথা হীন দেহ পাওয়া যায়। এনিয়ে ডোমজুড় থানায় একটি অভিযোগ হয়। ওই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের কারণও অনেকটাই স্পষ্ট। তদন্তে উঠে এসেছে মিঠুন ও নিহতের স্ত্রী রাজেশ্বরী খুনের পরিকল্পনা করেছিল। রাজেশ্বরীর আত্মীয় জি শেখরও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। গোটা খুনের ঘটনার মাস্টারমাইন্ড নিহত সুরেশের স্ত্রী রাজেশ্বরী। পরিকল্পনা করে মিঠুনকে নিয়ে ওই কাণ্ড করেছে সে।