Asansol: আসানসোলে বিয়েবাড়ির সংঘর্ষে মৃত্যু যুবকের, গ্রেফতার এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা
ঘটনার তদন্তে নেমে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ যুদুপতি পালকে গ্রেফতার করল জামুড়িয়া থানার পুলিস
নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবার রাতে আসানসোলের জামুড়িয়ার বগডিহা গ্রামে এক বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানের ঘটনা। কেটারিং কর্মীদের সঙ্গে গন্ডগোলের জেরে মৃত্যু হয় বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুরের যুবক রবি চৌধুরীর। সেই ঘটনায় গ্রেফতার এলাকার এক তৃণমূল নেতা। আজ তাকে গ্রেফতার করে আসানসোল আদালতে পাঠাল জামুড়িয়া থানার পুলিস।
এদিন, বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুর থেকে পিসির বাড়িতে প্রীতিভোজের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন রবি চৌধুরি(২৯)। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে পরিবারের সদস্যরা সবার শেষে খেতে বসলে খাবার দিতে অস্বীকার করে কেটারিং কর্মীরা। তাদের দাবি অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় তাদের সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। এ নিয়েই বচসার সৃষ্টি হয়। নিমন্ত্রিত আত্মীয়দের সঙ্গে কেটারিং কর্মীদের হাতাহাতি লেগে যায়। ওই সংঘর্ষ থামাতে যান রবি। তাকেও মারধর করে কেটারিং কর্মীরা বলে অভিযোগ। রবি ছাড়াও ওই পরিবারের আরো ২ জন জখম হন। তিনজনকেই রাতে বাহাদুরপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেন। শনিবার সকালে বুকে ব্যথা অনুভব করেন রবি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে আবার ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত রবির পিঠে গভীর ক্ষত ছিল।
ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ যুদুপতি পালকে গ্রেফতার করল জামুড়িয়া থানার পুলিস। সেই দিনের ঘটনায় উস্কানি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠছে যদুপতির বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে যদুপতির বাড়ির পাশের গ্রামেই।
এদিকে, এই ঘটনায় রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেছেন, কেউ যদি অন্যায় করে তাহলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। তা সে যে পার্টিরই হোন না কেন বা যে পদেই থাকুন না কেন। কেউ ছাড়া পাবে না।
আরও পড়ুন-Asansol: বিয়েবাড়িতে ভাত চাইতেই জুটল মার, মৃত্যু যুবকের