সুপুষ্টি দিবসে পঞ্চব্যঞ্জনের সামনে ছবি তুলিয়ে গর্ভবতীদের হাতে ধরানো হল ডিমের ঝোল - ভাত
অভিযোগ, ছবি তোলার পর ওই গর্ভবতী মহিলাদের একজন ওই খাবার খেতে গেলেই বাধা দেন কর্মীরা। কর্তৃপক্ষের তরফে সাফ জানানো হয় থালায় সাজানো খাবারটি খাওয়ার জন্য নয়, শুধুই ছবি তোলার জন্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপুষ্টি দিবসে পঞ্চব্যঞ্জনের থালার সামনে বসিয়ে ছবি তোলানো হল গর্ভবতী মহিলাদের। তবে সেই খাবার খেতে গিয়েই ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল তাঁদের। কর্তৃপক্ষ কড়া ভাবেই সাফ জানিয়ে দিল ওই খাবার কেবল ছবি তোলার জন্যই, খাবার জন্য নয়। তাই পাশের ঘরে পাঠিয়ে তাঁদের হাতে ধরানো হয় ডিমের ঝোল আর ভাতের একটি প্যাকেট। শান্তিপুরের এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে সমস্ত মহলে।
রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে সুপুষ্টি দিবস পালন। সরকারি আয়োজনকে কেন্দ্র করে এক চরম অমানবিক ঘটনার সাক্ষী হল নদিয়ার শান্তিপুর। অনুষ্ঠান উপলক্ষে আগের রাতেই এলাকার ২০ জন প্রসূতিকে নিমন্ত্রণ করে এসেছিলেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। জানানো হয়েছিল পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে তাঁদের। পরদিন দুপুরে শান্তিপুর ব্লকের ৪৬১ সেন্টারে সেই মতোই হাজিরও হয়েছিলেন তাঁরা। পঞ্চব্যঞ্জন, দই, মিষ্টির সমাহারে সুসজ্জিত থালার সামনে একে একে বসানো হয় তাঁদের। তোলা হয় খেতে বসার ছবিও। কিন্তু এরপর যা ঘটল তাতে অবাক সবাই।
অভিযোগ, ছবি তোলার পর ওই গর্ভবতী মহিলাদের একজন ওই খাবার খেতে গেলেই বাধা দেন কর্মীরা। কর্তৃপক্ষের তরফে সাফ জানানো হয় থালায় সাজানো খাবারটি খাওয়ার জন্য নয়, শুধুই ছবি তোলার জন্য। বদলে প্রসূতিদের হাতে ধরানো হয় ডিমের ঝোল আর ভাতের প্যাকেট। যাতে অপমানিত বোধ করেন প্রসূতি ও তাঁদের পরিজনরা। শান্তিপুরের ভগবতী দাস রোডের বাসিন্দা মৌমিতা সাধুখাঁ নামে এক প্রসূতি অপমানিত হয়ে খাবার না খেয়েই বাড়ি ফিরে যান। বাড়ি ফিরে তাঁর স্বামী বিশ্বজিত্ সাধুখাঁকে জানান সমস্ত ঘটনা। এরপর স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলেই আইসিডিএস অফিসে অভিযোগ জানান।
আরও পড়ুন: দাম কমল বলে, বৃষ্টি শুরু হতেই দিঘায় জালে উঠল ১২ টন ইলিশ
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ পৌঁছলে তিনি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনার নিন্দা করে তিনি জানান, "যা ঘটেছে অত্যন্ত নিন্দাজনক। তাঁরা কেন এমন কাজ করেছেন তাও খতিয়ে দেখা হবে।"