রাস্তায় ফেলে ভয়ঙ্কর মার শালবনি থানার আইসি-কে

পুলিস পেটাল জনতা। রাস্তায় ফেলে ভয়ঙ্কর মার। লাথি, ঘুসি। নজিরবিহীন নিগ্রহ, শালবনি থানার আইসি-কে। রাজ্য আরও একবার দেখল, পুলিসের দুরবস্থা। প্রাণভয়ে শেষপর্যন্ত এলাকা থেকেই ছুট লাগান IC. এখন ভর্তি হাসপাতালে।    

Updated By: Apr 21, 2017, 12:01 AM IST
রাস্তায় ফেলে ভয়ঙ্কর মার শালবনি থানার আইসি-কে

ওয়েব ডেস্ক: পুলিস পেটাল জনতা। রাস্তায় ফেলে ভয়ঙ্কর মার। লাথি, ঘুসি। নজিরবিহীন নিগ্রহ, শালবনি থানার আইসি-কে। রাজ্য আরও একবার দেখল, পুলিসের দুরবস্থা। প্রাণভয়ে শেষপর্যন্ত এলাকা থেকেই ছুট লাগান IC. এখন ভর্তি হাসপাতালে।    
     

সেদিন আর নেই, যখন উর্দি দেখে ভয় লাগত। সম্ভ্রম জাগত। মনে হত, এরাই রক্ষক।  সেদিন আজ ইতিহাস।  আজকের বাস্তব এটাই। ভাদুতলায় পথ দুর্ঘটনা। খুদে পড়ুয়াদের মৃত্যু। এরপরই অগ্নিগর্ভ এলাকা। পুলিস যাবে। এলাকা শান্ত করবে। বজায় রাখা হবে আইনের শাসন। এটাই স্বাভাবিক। এদিনও সেই চেষ্টাই হয়েছিল।

ঘটনাস্থলে যান শালবনি থানার আইসি বিশ্বজিত্‍ সাহা। কিন্তু কী হল? প্রথমে ধাক্কাধাক্কি, এরপরই গায়ে হাত IC-র। রীতিমতো ধাক্কা মেরে মেরে, আছড়ে ফেলা হল মাটিতে।  এদিকে সপাটে পড়ছে, একের পর এক লাথি-ঘুসি। কোনও রকমে মাটি থেকে উঠে দাঁডা়তেই ফের মার। শেষপর্যন্ত  প্রাণভয়ে এলাকা থেকেই ছুট লাগান IC। এই তো হল রাজ্যের আইনরক্ষকদের অবস্থা! IC-কে বাঁচাতে গিয়ে জনতার মারে জখম হন আরও কয়েকজন পুলিস কর্মী।  মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে যখন পৌছলেন আইসি, তখন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতাটুকুও আর নেই।

মনে প্রশ্নটা জাগবেই। কেন? কেন এভাবে মার খেতে হল পুলিসকে? প্রাক্তন পুলিসকর্তাদের অনেকেরই মত, অপরাধ করেও পার পেয়ে যাওয়ার প্রবণতা আজকাল বাড়ছে। নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু শাস্তি সেভাবে হয় না। দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বাড়ার আরেক কারণ, অপরাধীদের মনে পুলিস সম্পর্কে ভয়ডর কমছে। পুলিসের এমন দুরবস্থা, ভয়ঙ্কর সঙ্কেত আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রশ্নে। অস্বস্তি  কিন্তু বাড়ছে।

আরও পড়ুন- থার্মোকলের কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, দমকলের ২৩টি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন আয়ত্বে

.