গতবারের মতোই স্যানিটাইজ করা হোক বাস, দাবি তুলেছেন চালক থেকে যাত্রী সকলেই
করোনা আবহে সরকারি এবং বেসরকারি বাসে স্যানিটাইজ না হওয়ায় আতঙ্কিত চালক থেকে কন্ডাক্টর এবং যাত্রীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই রকেট গতিতে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। হুহু করে বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। করোনা আবহে সরকারি এবং বেসরকারি বাসে স্যানিটাইজ না হওয়ায় আতঙ্কিত চালক থেকে কন্ডাক্টর এবং যাত্রীরা। তাঁরা চাইছেন গতবারের মতো এবারও বাসে স্যানিটাইজ করা হোক। গতবছর করোনাকালে পরিবহণ দফতর থেকে সরকারি বাসের ডিপোতে সব বাস স্যানিটাইজ করা হয়েছিল৷ এর পাশাপাশি বাসের চালক-কনডাক্টরদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক দেওয়া হয়। কিন্তু এবারে এখনও পর্যন্ত কিছু দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ সরকারি বাসের চালক এবং কনডাক্টরদের। এর পাশাপাশি বেসরকারি বাসেও স্যানিটাইজেশন হচ্ছে না বলেই উঠেছে অভিযোগ৷
হাওড়া বাস মিনিবাস সমন্বয় কমিটির সভাপতি নিখীলেশ মুখোপাধ্যায় এই বিষয় সত্যতা স্বীকার করেছেন৷ তিনি জানান, বাস থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। গতবছর হাওড়া পুরসভা থেকে তাদের বাসগুলিকে স্যানিটাইজ করে দেওয়া হত। কিন্তু এবারে পরিবহণ দফতর অথবা পুরসভা থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি জানাচ্ছেন, যেহেতু এখন বাসে যাত্রী সংখ্যা কম হচ্ছে, তাই তাদের পক্ষেও খরচ করে স্যানিটাইজ করা সম্ভব হচ্ছে না। বাসের চালক প্রবীর গুছাইত জানান, তাঁদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার না দেওয়ার কারণে তাঁরা যথেষ্ট আতঙ্কিত। কার্যত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা বাস চালাচ্ছেন। শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক যাত্রী অভিযোগ করেন, জীবানুনাশক ব্যবহার না করায় বাস থেকে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই বাস স্যানিটাইজ করার দাবি জানাচ্ছেন তিনিও।
বাস ছাড়াও অটো কিংবা ট্যাক্সিতে আগে চালক ও যাত্রীদের বসার জায়গায় প্লাস্টিক দিয়ে আলাদা করে ঘিরে দেওয়া হত। সেটাও এখন চোখে পড়ছে না। সব মিলিয়ে প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলেই মত সকলের। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি বাস প্রতিদিন স্যানিটাইজ করা বাধ্যতামূলক এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে শীঘ্রই। গণ পরিবহন থেকে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হবে।