Purba Bardhaman: মায়ের নামে ঋণ ছেলের, অবিলম্বে শোধ করতে চাপ বেসরকারি সংস্থার, আত্মঘাতী বাবা-মা!
একমাস সময় চাইলেও তা দিতে রাজি হননি ঋণদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা । এমনকি তাঁরা ভয় দেখিয়ে তাঁকে গোপালপুর চলে আসতে বাধ্য করেন।
পার্থ চৌধুরী: বেসরকারি ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার টাকা শোধ দেওয়ার চাপ সামলাতে না পেরে আত্মঘাতী স্বামী-স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার দক্ষিণ গোপালপুর গ্রামে। মৃতদের নাম হেমন্ত মালিক( ৫৬) ও রেখা মালিক ( ৫৩)।
মৃতার বড় ছেলে সনাতন মালিক জানিয়েছেন, 'আজ সকালে কাজের জন্য বাবাকে ডাকতে গিয়ে দেখি ঘরের ছাদ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় বাবা ও মা। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের খবর দেওয়া হয়।' তাঁদের ধারণা ; ঋণ শোধ করার চাপ সামলাতে না পেরেই যুগলের এহেন চরম সিদ্ধান্ত। তিনি আরও বলেন, তাঁর ভাই রমেশ মালিক মায়ের নামে ক্ষুদ্র ঋণদানকারী সংস্থার থেকে ঋণ নিয়েছিল। এরপরই ঋণ শোধ দেওয়ার চাপে ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায়।
এদিকে ঋণদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা বারবার চাপ দিতে থাকেন রেখা মালিককে। তাদের চাপে দুদিন আগে বাপের বাড়ি জামদহে চলে যান রেখা। রেখার ভাই রামু দলুই ও ভাইপো বিশ্বজিৎ দলুইয়ের অভিযোগ, সংস্থার আধিকারিকরা সেখানেও হানা দেন। তিনি একমাস সময় চাইলেও তা দিতে রাজি হননি তাঁরা। এমনকি তাঁরা ভয় দেখিয়ে তাঁকে গোপালপুর চলে আসতে বাধ্য করেন।
বড় ছেলে সনাতন মালিক পরিবার নিয়ে আলাদা থাকে। বুধবার সারাদিন মনমরা হয়ে ঘরেই ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। ছেলে তাঁদের ভাত দিয়ে গেলেও দু- বেলাই তা খাননি তাঁরা। রাতে একটু চা খেতে চান। সেই চা খান তারা। সকালে উঠে এই ঘটনা দেখে হতবাক ছেলে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রামে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে৷ পুলিস ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি জানান; তিনি বিষয়টি পুলিসকে দেখতে বলবেন। রিপোর্ট আসার পর যা করার করবেন।
আরও পড়ুন, Sonarpur: সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেম থেকে বাড়ির অমতে পালিয়ে বিয়ে, ৩ মাসেই সম্পর্কের করুণ পরিণতি!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)