Purba Bardhaman: সরকারের নির্দেশ অমান্য, কোম্পানির প্রতিনিধিদের বলা ওষুধ লিখছেন ডাক্তাররা
স্থানীয় বাসিন্দা জাহির আব্বাসের দাবী, ‘হাসপাতালের ডাক্তাররা বাইরের ওষুধ লিখছেন। বাইরে কেনা ওষুধ ডুপ্লিকেট। তাই বার বার খেয়েও কোনও কাজ হচ্ছেনা’। মঙ্গলবার ওষুধ কোম্পানীর এক প্রতিনিধিকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আউটডোরের ভিতরে ওষুধ হাতে দেখা যায়। সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখতেই তিনি আউটডোর থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের গেটের বাইরে চলে আসেন।
পার্থ চৌধুরী: সরকারের নির্দেশ অমান্য করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঢুকছেন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। তাদের প্রলোভনে পা দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকদের দুই এক জন। ওই সব চিকিৎসকরা প্রেসক্রিপশনে যে ওষুধ লিখছেন তা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মিলছে না। রুগীর আত্মীয়তার পরিজনরা বাধ্য হয়েই বাইরে ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কিনছেন। এই ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ পূর্ব বর্ধমানের গলসির পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা করতে আসা রুগী ও রুগীর আত্মীয় পরিজনরা। বাইরের ওষুধের দোকান থেকে ওষুধের কিনে রোগ সারছে না এমনই অভিযোগ রুগী ও তাদের আত্মীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দা জাহির আব্বাসের দাবী, ‘হাসপাতালের ডাক্তাররা বাইরের ওষুধ লিখছেন। বাইরে কেনা ওষুধ ডুপ্লিকেট। তাই বার বার খেয়েও কোনও কাজ হচ্ছেনা’। বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রশাসনকে ও হাসপাতাল কতৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান। ঘটনার কথা জানতে পেরে, কড়া ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দিয়েছেন পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ স্বর্ণাভ হাজরা। তিনি বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ থাকার পরেও যদি কোনও মেডিকেল অফিসার এমন করেন তাহলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
মঙ্গলবার ওষুধ কোম্পানীর এক প্রতিনিধিকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আউটডোরের ভিতরে ওষুধ হাতে দেখা যায়। সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখতেই তিনি আউটডোর থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের গেটের বাইরে চলে আসেন। তিনি বলেন, ‘কোনও কোনও ডাক্তার মিট করেন তাই আসি। এখানে এসে দেখি ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের প্রবেশ নিষেধ তাই আর ঢুকিনি’।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Today: দহনজ্বালা থেকে স্বস্তি, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিতে ভিজবে কলকাতা থেকে জেলা
তবে স্থানীয়দের দাবী, সকাল বিকাল ওষুধ কোম্পানীর লোক ঢোকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভিতরে। এলাকাবাসী সেখ গুলজার বলেন, ‘স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বেশ কয়েক জন ডাক্তারবাবু ভালো আছেন। দু'একজন ডাক্তারবাবু কিছুদিন ধরে বাজে ভাবে বাইরের ওষুধ লিখছেন। ইচ্ছামতো বাইরের পরীক্ষা করতে বলছেন। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ওষুধ থাকার সত্বেও কমিশনের লোভে বাইরের ওষুধ লিখছেন। ফলে বিনামূল্যে চিকিৎসা করতে আসা রোগীদের পকেট কাটছে। এর ফলে পুরসা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বদনাম হচ্ছে’। তাঁর দাবী বিএমওএইচ সেই ডাক্তারগুলিকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিন।