প্রকাশ্য রাস্তায় স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপ, বাঁচাতে এলে কোপ শ্বাশুড়িকেও
আতঙ্কে ছোটোছুটি শুরু করে দেন এলাকার বাসিন্দারা। প্রিয়াঙ্কা নিজেও রক্তাক্ত অবস্থায় পালানোর চেষ্টা করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রকাশ্য রাস্তায় স্ত্রীকে এলোপাথারি কোপ স্বামীর। ঘটনায় গড়ফার প্রতাপনগর মনসাতলায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। গতকাল রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ প্রিয়াঙ্কা রাইকে আচমকা রাস্তার মধ্যে কোপাতে থাকে স্বামী প্রণাম রাই। আতঙ্কে ছোটোছুটি শুরু করে দেন এলাকার বাসিন্দারা। প্রিয়াঙ্কা নিজেও রক্তাক্ত অবস্থায় পালানোর চেষ্টা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পিছু ধাওয়া করে সেখানেও তাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে স্বামী। পরে লোক জড়ো হয়ে গেলে পালায় অভিযুক্ত। প্রিয়াঙ্কাকে স্থানীয়রাই হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাসি শুরু হয়েছে। কী কারণে হামলা, তদন্তে পুলিস।
এ দিন মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে জামাইয়ের হাতে আক্রান্ত হন প্রিয়াঙ্কার মাও। জামাই-এর শাস্তির দাবি করে জেল হেফাজত চেয়েছেন প্রিয়াঙ্কার মা। যদিও জেল থেকে বের হলে আবারও প্রিয়াঙ্কাকে মারতে আসবে বলেই দাবি করছেন প্রিয়াঙ্কার পরিবার।
প্রিয়াঙ্কা ZEE ২৪ঘন্টাকে জানায়, গতকাল রাতে দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। তাঁর পিছু নেয় তাঁর স্বামী প্রাণাম রায়। বাড়ি থেকেই ঢিল ছোঁড়া দূরত্বেই প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বচসায় জড়ায় প্রাণাম। স্থানীয়রা প্রিয়াঙ্কার মাকে খবর দিলে সেখানে পৌঁছে তিনি দেখেন সামনেই প্রিয়াঙ্কাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছে প্রাণাম। মেয়েকে বাঁচাতে গেলে শ্বাশুড়ি কেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে জামাই।
প্রিয়াঙ্কার মায়ের অভিযোগ, এলাকায় তখন অতো লোক থাকা সত্ত্বেও প্রথম দিকে কেউই বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত গোটা পরিবারের লোকজনরা। অভিযুক্ত প্রাণামের বাড়িতে গেলে সেখানে তালা ঝুলতে দেখা যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কালি পুজোর পর থেকেই স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকতে শুরু করে। তাঁদের ডিভোর্সের মামলাও চলছে। পুলিস জানিয়েছে, ১৪ বছর হয়েছে তাঁদের বিয়ে হয়েছে। ১২ বছর বয়সী একটি সন্তানও রয়েছে তাঁদের। গতকাল রাতে ঘটনার পর অভিযুক্ত কে তাঁর বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়। ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৭ ধারায় ( খুনের চেষ্টা) মামলা দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিস।