World Environment Day: বিশ্ব পরিবেশ দিবসেই অঙ্কুরোদ্গম ঘটল বীজ ব্যাংকের...
World Environment Day: ফল খান ঘরে, বীজ জমা করুন ক্লাবে। এতে সুবজ ধ্বংসের হাত থেকে রেহাই পাবে বিভিন্ন বনাঞ্চল। ফলে এতে খুশি এলাকার বাসিন্দারা। এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বহু স্থানীয় মানুষ।
প্রদ্যুৎ দাস: বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদযাপনের মধ্য দিয়ে জলপাইগুড়িতে একটি বীজ ব্যাংক গড়ে তুললেন দক্ষিণ বামনপাড়া পূর্বাচল সঙ্ঘ ক্লাবের সদস্যরা। অভিনব এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে স্থানীয় মানুষের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে, তাঁরা যেন তাঁদের বাড়িতে ফলমূল সবজি ইত্যাদি ব্যবহারের পরে এর বীজগুলি ফেলে না দেন। বরং সেই সব বীজ তাঁরা যেন এই ব্যাংকে জমা করেন।
আরও পড়ুন: Snana Yatra in Mahesh: চলছে ৬২৭ বছর ধরে! দেড় মন দুধ আর ২৮ ঘড়া গঙ্গাজলে স্নান জগন্নাথের...
পূর্বাচল সঙ্ঘ ক্লাবের কর্মকর্তারা বলছেন, এই সময়ে প্রায় সকলের বাড়িতেই আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু-সহ বিভিন্ন রকমের ফল আসছে। সেই সব ফল খাওয়ার পরে সকলেই ওই সব ফলের বীজগুলি সাধারণত ফেলে দেন। তবে আমরা অনুরোধ করছি, এবার থেকে আর ওই বীজগুলি ফেলে না দিয়ে বরং আমাদের ক্লাবের বীজ ব্যাঙ্কে জমা করুন। আমাদের এখানে সকলকে বীজ জমা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।
কী হবে এত বীজ?
জানা গিয়েছে, বীজ ব্যাংকে জমা হওয়া সেই বীজগুলি একত্রিত করে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে ক্লাবের পক্ষ থেকে।
আজ সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে বীজ ব্যাংকের উদ্বোধন করেন ক্লাব সভাপতি মনোজ সরকার। উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সম্পাদক মৃদুল দেব-সহ অন্যান্য কর্মকর্তারাও। তাঁরা বলেন, খাদ্যের অভাবে জঙ্গলের বন্যপ্রাণীরা মাঝে মধ্যেই লোকালয়ে চলে আসছে। এজন্য বীজ ব্যাংকের বীজগুলি বিভিন্ন জঙ্গল এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের ইচ্ছা, সকলের দেওয়া বীজই অঙ্কুরিত হোক, তারপর সেগুলি একদিন বিশাল বৃক্ষে পরিণত হোক। এই সব গাছ বড় হলে এদের ফল খেয়েই বেঁচে থাকতে পারবে বন্যপ্রাণীরা। পাশাপাশি প্রকৃতিও রক্ষা পাবে।
আরও পড়ুন: Malbazar: ভয়ংকর এই তাপপ্রবাহ সহ্য করতে পারছে না বন্যরাও! ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে...
সুবজ ধ্বংসের হাত থেকে রেহাই পাবে বিভিন্ন বনাঞ্চল। ফলে এতে খুশি এলাকার বাসিন্দারা। এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বহু স্থানীয় মানুষ। পাশাপাশি সোমবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে 'নেচার অ্যান্ড ট্রেকার্স ক্লাব অফ জলপাইগুড়ি'র তরফ থেকে পথচলতি মানুষজনদের হাতে তুল দেওয়া হয় চারাগাছ। গাছ রোপণ কর্মসূচিও পালিত হয়।