ভাটপাড়ায় পুলিসের সঙ্গে গুলির লড়াই, এনকাউন্টারে মৃত্যু দুষ্কৃতীর
শুক্রবার সকালে ভাটপাড়ার সুন্দিয়াপাড়া এলাকায় দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করতে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। সেসময় প্রভু সাউ নামে ওই দুষ্কৃতীর পিছু নেয় পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভাটপাড়ায় দিনেদুপুরে পুলিসের সঙ্গে গুলির লড়াই দুষ্কৃতীদের। এনকাউন্টারে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম প্রভু সাউ(৩০)।
ভাটপাড়ার আজকের ঘটনা কোনও হিন্দি অ্যাকশন ড্রামার থেকে কম নয়। বোমা ছুড়তে ছুড়তে সরু গলির ভিতর দিয়ে দৌঁড়চ্ছে দুষ্কৃতী। পিছনে পুলিস। পাঁচিল টপকে, এক বাড়ির ছাদ থেকে অন্য বাড়ির ছাদে লাফিয়ে পালানোর আপ্রাণ চেষ্টা। হাল ছাড়তে নারাজ পুলিসের। আর কয়েক মিনিটের ব্যবধানে চলছে পরপর গুলি। এতদিনের একটানা অশান্তির মধ্যে এই প্রথম এক অন্য অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকলেন ভাটপাড়ার বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকে কাঁটাপুকুর থেকে দুষ্কৃতীরা গিয়ে কাঁটাডাঙা এলাকায় বোমাবাজি করতে থাকে। বারোটা নাগাদ প্রথম বোমা পড়ে। এরপর একটা ও দেড়টা নাগাদ বোমা পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। সেসময় প্রভু সাউ নামে ওই দুষ্কৃতীর পিছু নেয় পুলিস। প্রভু বোমা ছুড়তে ছুড়তে পালাতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা অনুযায়ী, প্রভু একবাড়ি পাঁচিল টপকে অন্য বাড়ির অ্যাসবেসটসে উঠে পড়ে। সেসময় পুলিসও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। প্রভুকে প্রায় তিন কিলোমিটার ধাওয়া করে পুলিস।
শেষমেশ প্রভু সুন্দিয়াপাড়া এলাকায় সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় নামে স্থানীয় এক বাসিন্দারা ছাদে উঠে পড়ে, তখন তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিস। গুলি লাগে প্রভুর মাথার পিছনে। অ্যাসবেসটসের চাল ভেঙে সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরের মধ্যে পড়ে যায় প্রভু। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে বারাকপুর বিএন বোস হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরিচারিকার সঙ্গে পরকীয়া তৃণমূল নেতার! আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়তেই গাছে বেঁধে রাখল স্থানীয়রা
বৃহস্পতিবার রাতেই কাঁকিনাড়ার ৫ নম্বর গলিতে বোমাবাজি হয়। দুই দুষ্কৃতীদলের মধ্যে বোমাবাজি হয় কাঁটাডাঙার ২০ নম্বর রেল কোয়ার্টার এলাকাতেও। বৃহস্পতিবার রাতে শ্যামনগরে রাজু চক্রবর্তী নামে এক যুবকের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা হয়। ছুরির আঘাতেই মৃত্যু হয় তার। জানা গিয়েছে, রাজুর বিরুদ্ধে পুলিসের খাতায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে।