Sikkim Flash Flood: তিস্তায় ভেসে আসা দেহ ছিঁড়ে খাচ্ছে শেয়াল-কুকুরে! বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়তে ব্যস্ত সেনা
মৃতদেহের চুলের কাটিং দেখে ওই দেহটি কোনও সেনা জওয়ানের বলে মনে করা হচ্ছে। তিস্তার হড়পা বানে ভেসে যায় সিংটামের সেনা ছাউনি। ২৩ জন জওয়ান নিখোঁজ হয়ে যান। ইতিমধ্যেই সিকিম বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০। এখনও নিখোঁজ বহু।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিপর্যয়ের পর কেটে গিয়েছে ৩ দিন। এখনও চারদিকে ধ্বংসের ছাপ স্পষ্ট। কোথাও ভেসে গিয়েছে রাস্তা। কোথাও ব্রিজ। কোথাও ধূলিসাৎ বাড়ি। কোথাও জল সরতেই পলি-কাদামাটির স্তরের ভিতর থেকে বেরচ্ছে গাড়ি। উত্তর সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় এখনও আটকে রয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে বহু পর্যটক। আকাশপথে তাঁদের উদ্ধার করছে সেনা। ইতিমধ্যেই সিকিম বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০। এখনও নিখোঁজ বহু। নিখোঁজদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। হাসপাতালে, মর্গে, তিস্তার পাড়ে ছবি হাতে ঠায় দাঁড়িয়ে পরিবার পরিজনেরা। এরইমধ্যে দেখা গেল এক বীভৎস দৃশ্য। তিস্তার হড়পা বানে ভেসে আসা একটি মৃতদেহ পড়ে রয়েছে চরের জমিতে। ২ দিন ধরে সেই মৃতদেহ ছিঁড়ে-খুবলে খাচ্ছে শেয়াল-কুকুরে।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জানিয়েছেন, প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও উদ্ধারের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। তিস্তার হড়পা বানে ভেসে আসা দেহটি এখনও পড়ে রয়েছে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বোয়ালমারি নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালামপুর চর এলাকায়। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য জিতেন বিশ্বাসের অভিযোগ, তিস্তা নদীর বন্যায় মৃতদেহটি এসে ধান ক্ষেতে পড়ে। বৃহস্পতিবার তিনি বিষয়টি দেখামাত্র-ই প্রশাসনকে জানান। কিন্তু ২ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কেউ সেই মৃতদেহ উদ্ধারে আসেনি। এদিকে সেই মৃতদেহটি কুকুর-শিয়ালে ছিঁড়ে খাচ্ছে। মৃতদেহের চুলের কাটিং দেখে ওই দেহটি কোনও সেনা জওয়ানের বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, তিস্তার হড়পা বানে ভেসে যায় সিংটামের সেনা ছাউনি। ২৩ জন জওয়ান নিখোঁজ হয়ে যান। ইতিমধ্যেই ৭ জনের দেহ মিলেছে।
ওদিকে তিস্তায় ভেসে গিয়েছে বিস্ফোরক সহ বোমা-বন্দুকও। ভেসে যাওয়া সেইসব বিস্ফোরক, বোমা, বন্দুক ভেসে উঠেছে তিস্তার নিম্ন অববাহিকায়। সেগুলি নিস্ক্রিয় করছে সেনা। সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে তিস্তায় ভেসে আসা সেনার মর্টার-শেলকে খেলনা ভেবে জল থেকে তুলে বাড়ি নিয়ে যায় ২ শিশু। সেগুলি নিয়ে খেলতে গিয়ে বাঁধে বিপত্তি। জলপাইগুড়ি জেলার মাল ব্লকের ক্রান্তির চাপাডাঙ্গা এলাকায় ওই মর্টার-শেল ফেটে মৃত্যু হয় ২ শিশুর। এই ঘটনার পরই সেনার তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়। বলা হয়েছে, তিস্তা সংলগ্ন এলাকায় এই ধরনের কোনও প্রকার বিস্ফোরক পেলে তা অবিলম্বে স্থানীয় পুলিস প্রশাসনকে জানাতে। এরপরই এখন সিকিমে বিপর্যয়ে তিস্তার হড়পা বানে ফের ভেসে গিয়েছে সেনার বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও বোমা-বন্দুক। নিম্ন অববাহিকায় যেখানেই সেগুলি পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই সেগুলির বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে সেনা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)