Siliguri: বিহারে থেকে এনে শিশু বিক্রির চেষ্টা, খদ্দের সেজে ৪ জনকে ধরে ফেলল পুলিস
সব কিছু চূড়ান্ত হওয়ার পর শনিবার সকালে প্রতীক ও গৌরী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসতে বলেন। আগেথেকেই সেখানে পুলিসের সাজানো খদ্দেরকে ডাকা হয়। একজন মহিলা কনস্টেবলকে শিশু দেখাশোনার আয়া সাজিয়ে নিয়ে ওই বিক্রেতাদের কাছে যান পুলিসের সাজানো খদ্দের
নারায়ণ সিংহ রায়: বিহার থেকে শিশু এনে বিক্রি করতে গিয়ে শিলিগুড়িতে ধৃত ৪ জন। শনিবার মাটিগাড়া থানাকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ অভিযান চালিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ২ নম্বর গেট এলাকা থেকে ওই চারজনকে ধরে শিলিগুড়ি পুলিসের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। ধৃতদের হেপাজত থেকে একটি ৭ দিনের শিশুকন্যাকে উদ্দার করা হয়েছে।
ধৃতরা হল, বীণা দেবী,প্রতীক দেবনাথ,গৌরীবাহাদুর ছেত্রী ও প্রভা দেবী। এদের মধ্যে প্রতীক এবং গৌরী সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। তারা দুজন শিলিগুড়ির সূর্য সেন কলোনির বাসিন্দা। ধৃতদের রবিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হলে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ আদালতের কাছে ৮ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করে। পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্তভার ডিটেক্টিভ ডিপার্টমেন্টকে দিয়েছেন শিলিগুড়ির পুলিস কমিশনার।
আরও পড়ুন-সাংসদ পদ চলে গিয়েছে, এবার ট্যুইটারে নিজের পরিচয় বদলে ফেললেন রাহুল
কীভাবে এই গ্রেফতার? শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিস গোপন সুত্রে খবর পায় শিশু বিক্রির চক্রান্ত চলছে। সেইমতো এসওজির একটি দল তল্লাশিতে নামে।ছক কষে পুলিসের দল গ্রাহক সেজে এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। যোগাযোগ করার পর এজেন্টরা বেশ কয়েকটি শিশুর ছবি দেখায়। সেখানে ছয় মাস থেকে শুরু করে সদ্যোজাত, এক বছরেরও শিশু রয়েছে। কোনও শিশুর দাম ৬ লক্ষ টাকা, কোনও শিশুর দাম ৭ লক্ষ টাকা আবার কোনও শিশুর দাম ১০ লক্ষ টাকা। সব দেখে ৭ দিনের শিশুকন্যাকে পছন্দ করে পুলিসের ওই সাজানো খদ্দের। ওই শিশুকন্যার বিনিময়ে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়।
সব কিছু চূড়ান্ত হওয়ার পর শনিবার সকালে প্রতীক ও গৌরী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসতে বলেন। আগেথেকেই সেখানে পুলিসের সাজানো খদ্দেরকে ডাকা হয়। একজন মহিলা কনস্টেবলকে শিশু দেখাশোনার আয়া সাজিয়ে নিয়ে ওই বিক্রেতাদের কাছে যান পুলিসের সাজানো খদ্দের। প্রথমেই টাকা দেখতে চায় অভিযুক্তরা। সেইমতো পুলিশের পক্ষ থেকে টাকাও দেখানো হয়। এরপর ফোন করে বীণাকে শিশুটি নিয়ে আসার জন্যে বলে গৌরী। সেইমতো বাগডোগরায় নিজের বাড়ি থেকে ওই শিশুকন্যাকে এবং প্রভাকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসে বীণা। এরপরেই চারজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিস।
পুলিস জেরায় জানতে পেরেছে, ওই শিশুকন্যাকে বিহারের একটি আইভিএফ সেন্টার থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার জন্যে বিহারের এক এজেন্টের অ্যাকাউন্টে বীণার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ২ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছিল। এরপরই প্রভা ওই শিশুকন্যাকে শিলিগুড়িতে নিয়ে এসেছিল।