শীতলকুচিতে গুলির পর 'ফাঁকা' বুথ, ভুলে গিয়েছিলেন জানাতে, স্বীকারোক্তি প্রাক্তন SP-র
চতুর্থ দফার ভোটের দিন শীতলকুচির (Sitalkuchi) জোড়পাটকি ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ৪ গ্রামবাসীর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শীতলকুচিকাণ্ডে (Sitalkuchi) মঙ্গলবার আরও একবার জেরা করা হল কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিস সুপার দেবাশিস ধরকে। সূত্রের খবর, জেরায় বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি করেছেন তিনি। ঘটনার পর বুথ ছেড়ে চলে গিয়েছিল সিআইএসএফ। কিন্তু 'অসুরক্ষিত' বুথের কথা নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) জানাতেই ভুলে গিয়েছিলেন দেবাশিস। ঘটনাস্থলে দুটি গুলি চালানোর ঘটনা ঘটলেও মাত্র একটি এফআইআর করা হয়েছে। প্রথমবার জেরায় ৭২টি প্রশ্ন করা হয়েছিল দেবাশিস ধরকে। এ দিন ছিল ৫০টির বেশি প্রশ্ন। তদন্তকারীদের জেরার মুখে দৃশ্যতই ভেঙে পড়েন প্রাক্তন পুলিস সুপার।
চতুর্থ দফার ভোটের দিন শীতলকুচির (Sitalkuchi) জোড়পাটকি ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ৪ গ্রামবাসীর। ওই ঘটনার তদন্তে মঙ্গলবার দ্বিতীয়বার জেরা করা হয় তৎকালীন পুলিস সুপার দেবাশিস ধরকে। জেরায় তাঁর একের পর এক বয়ানে জোরালো হয়েছে গাফিলতির তত্ত্ব। সূত্রের খবর, প্রাক্তন পুলিস সুপার জানান, গুলি চালানোর পর বুথ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন সিআইএসএফ জওয়ানরা। অথচ তা নির্বাচন কমিশনকে জানাতে ভুলে গিয়েছিলেন তিনি। কীভাবে ভুলে যেতে পারেন? জানতে চান তদন্তকারীরা। দেবাশিস আমতা আমতা করে বলেন,'ভুল হয়ে গিয়েছে। রাতে মৌখিকভাবে ডিজি ও এডিজি আইনশৃঙ্খলাকে ব্যাপারটি জানিয়েছিলাম।'
ওই দিন শীতলকুচিতে (Sitalkuchi) দুটি দুটি গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। প্রথম ঘটনায় বুথ থেকে ১৫০ মিটার দূরে শূন্যে গুলি চালিয়েছিল সিআইএসএফ। অথচ একটাই এফআইআর করা হয়েছে। দেবাশিস ধরের ব্যাখ্যা,'দুটিই গুলি ছোড়ার ঘটনা। এবং সিআইএসএফ জড়িত। সে কারণে একটি এফআইআর করেছিলাম। সিআইএসএফ-ও একটা চিঠিতে বিষয়টি জানিয়েছিল।'
এত বড় ঘটনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেননি বলে জেরায় স্বীকার করে নিয়েছেন প্রাক্তন পুলিস সুপার। তিনি জানান, মাথাভাঙার আইসি ও এসডিপিও গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের কাছ থেকে লিখিত রিপোর্ট চাননি তিনি। সিআইএসএফের বক্তব্যই সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন দেবাশিস। ১২ এপ্রিল গিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে। তবে সন্ধে হয়ে যাওয়া তদন্ত করে উঠতে পারেননি। এত বড় ঘটনার তদন্তে সকালে কেন গেলেন না? উত্তর দিতে পারেননি প্রাক্তন পুলিস সুপার।
সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় বারবার ভেঙে পড়েন দেবাশিস ধর। অনুরোধ করেন, আর তাঁকে যেন আর ডাকা না হয়। তবে দেবাশিসের বয়ানে বিস্তর অসংগতি থাকায় মাথাভাঙার আইসি-র সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরা করতে চান তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন- পিএসি চেয়ারম্যান কে? নাম জেনে ১০ কমিটির তালিকা, স্পিকারকে জানাল BJP