Bandel: মনিটরের পিছন থেকে উঁকি দিচ্ছে সাপ! হুলুস্থুল কাণ্ড থানায়
চোর-ডাকাত ধরতে পারদর্শী পুলিসকর্মীরা সাপ ধরতে গিয়ে কার্যত নাকানিচোবানি খেলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : দড়িতে সর্পভ্রম নয় সাক্ষাৎ সর্প দর্শন! আর তাতেই আতঙ্ক ছড়াল ব্যান্ডেল জিআরপি থানায়। থানার কম্পিউটার রুমে কখন যে সাপ ঢুকে বসে আছে তা টেরও পাননি পুলিসকর্মীরা। ফলে কর্মব্যস্ত দিনের শুরুতেই ঘটল ছন্দপতন।
ব্যান্ডেল জিআরপি থানায় সকালে তখন কাজের ব্যস্ততা শুরু হয়েছে সবে। ডিউটি অফিসারের দায়িত্বে থাকা মহিলা পুলিসকর্মী ২ বার গিয়ে ফাইলও নিয়ে আসেন কম্পিউটার টেবিল থেকে। কিন্তু তাঁর চোখে অবশ্য তখন কিছুই পড়েনি। এর কিছুক্ষণ পরই কম্পিউটার অপারেটর লক্ষ্য করেন মনিটরের পেছন দিক থেকে কী যেন একটা উঁকি মারছে! তিনি উঠে দাঁড়াতেই তাঁর নজরে পড়ে মস্ত এক সাপ।
ব্যাস সঙ্গে সঙ্গে কাজকর্ম সব শিকেয় ওঠে। কী সাপ? বিষ আছে না নির্বিষ? তা ভাবার তখন সময় নেই। সাপ দেখেই থানা জুড়ে হুলুস্থুল কাণ্ড বেঁধে যায়। সাপ তাড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন পুলিসকর্মীরা। কিন্তু চোর-ডাকাত ধরতে পারদর্শী পুলিসকর্মীরা সাপ ধরতে গিয়ে কার্যত নাকানিচোবানি খেলেন। বিফলে গেল সাপ ধরার চেষ্টা। কিছুতেই সেই সাপকে থানা থেকে বাইরে বের করা গেল না।
অবশেষে সাপ ধরায় পারদর্শী ব্যান্ডেলের যুবক অরুণ প্রসাদের ডাক পড়ল সাপ ধরতে। তিনি এসে সাপ ধরে নিয়ে যাওয়ার পর স্বস্তি ফেরে থানায়। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন থানায় কর্মরত পুলিসকর্মীরা। অরুণ প্রসাদ জানিয়েছেন, সাপটি দাঁড়াশ প্রজাতির। নির্বিষ সাপ এটি। সম্ভবত খাবারের খোঁজেই থানায় ঢুকে পড়েছিল।
আরও পড়ুন, Baruipur: ফোনে কথায়-গেমে ব্যস্ত নার্সরা, 'গাফিলতি'তে মৃত্যু রোগীর