'একটাতেই,শুধু নন্দীগ্রাম থেকেই লড়তে হবে', Mamata-কে ফের নিশানা Suvendu-র

তাঁর স্পষ্ট হুঙ্কার, "উনিশে হাফ একুশে সাফ।"

Updated By: Jan 20, 2021, 07:43 PM IST
'একটাতেই,শুধু নন্দীগ্রাম থেকেই লড়তে হবে', Mamata-কে ফের নিশানা Suvendu-র

নিজস্ব প্রতিবেদন : চন্দননগরের সার্কাস মাঠের সভা থেকে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'নন্দীগ্রাম চ্যালেঞ্জ' ছুঁড়লেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন তালডাংরা মোড় থেকে রোড শো করে সার্কাস মাঠের জনসভায় পৌঁছন শুভেন্দু। সেই সভা থেকেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে শুভেন্দু বলেন, "আমি মাননীয়াকে বলেছি দুটো কেন্দ্রে দাঁড়াতে দেব না। একটাতেই দাঁড়াতে হবে। শুধু নন্দীগ্রামে লড়তে হবে। বিজেপির প্রার্থী যেই হোক, মমতাকে হাফ লাখ ভোটে হারাব।" 

শুধু এটাই নয়। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, "নন্দীগ্রামটা আমি বুঝে নেব। আপনারা চন্দননগরটা বুঝে নিন।" এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু দাবি করেছেন, আসন্ন বিধানসভা ভোটে হুগলি জেলায় তৃণমূল শূন্য পাবে। তাঁর স্পষ্ট হুঙ্কার, "উনিশে হাফ একুশে সাফ।" পাশাপাশি, এদিন নন্দীগ্রাম নিয়ে মমতা ব্যানার্জিকে (Mamata Banerjee) কটাক্ষও করেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, "নন্দীগ্রামে গিয়ে বলছেন, নন্দীগ্রাম আমার মেজ বোন। তারপরে বলছেন, ভবানীপুর আমার বড় বোন। মাথা কাজ করছে না। কোনও হিসেব মিলছে না। এরপর ঝাড়গ্রামে গিয়ে বলবেন, নেতাই আমার ছোট বোন।"

উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বিজেপিতে যোগদানের পর সোমবার নন্দীগ্রামে প্রথমবার জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সভা থেকেই আসন্ন বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম আসন থেকে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী। সুব্রত বক্সীকে নির্দেশ দেন, নন্দীগ্রাম আসনে তাঁর নাম প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করার জন্য। পাশাপাশি, তিনি এও বলেন যে, ভবানীপুরকেও তিনি নিরাশ করবেন না। সম্ভব হলেই নন্দীগ্রাম-ভবানীপুর, দু জায়গা থেকেই দাঁড়াবেন তিনি।

আরও পড়ুন, 'মুখ না খুলে সিদ্ধান্ত নিন', চন্দননগরে রোড-শো থেকে 'বেসুরো' প্রবীরকে বার্তা Suvendu-র

মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই পাল্টা সমালোচনায় সরব হয় বিরোধী নেতৃত্ব। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ভবানীপুর আসনেও পাল্টা চমক দেবে বিজেপি। অন্যদিকে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী কটাক্ষ করেন, এটা একপ্রকার মমতার হার স্বীকার।

আরও পড়ুন, 'কর্মচারী থাকতে চাইলে TMC-তে থাকুন, সহকর্মী হলে BJP-তে', রাজীব-প্রবীরকে Suvendu

.