রবিতে আসছেন তথাগত, দিলীপ-মুকুল কাজিয়ার মাঝে আর এক 'ঝগড়া'য় BJP?
২০০০২ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির সভাপতি ছিলেন তথাগত।
অঞ্জন রায়: রাজ্যপালের পদ ছেড়ে দিয়েছেন। আবার সক্রিয় রাজনীতিতে আসছেন তথাগত রায়। রবিবার পা রাখবেন কলকাতায়। আর সে খবরেই এখন জোর চর্চা বিজেপির অন্দরে। তাহলে কি একুশের আগে দিলীপ-মুকুল দ্বন্দ্বের মাঝে 'ত্রিকোণ' হয়ে উঠবেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি? আর তাঁকে স্বাগত জানাতে যে ভাবে বিজেপির একাংশ উৎসাহ দেখাচ্ছে, তাতে সেই সম্ভাবনা আরও জোরাল হচ্ছে। তথাগত অবশ্য দাবি করেছেন, বিজেপিতে ঝগড়া লাগাতে যাচ্ছেন না। গোটা জল্পনাকেই প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত বলে দাবি করেছেন তথাগত।
তখন বিজেপি মেরেকেটে ৫ শতাংশের দল বাংলায়। বিজেপির মুখ বলতে তপন সিকদার, বিষ্ণুকান্ত শাস্ত্রী ও তথাগত রায়। ২০০২ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির সভাপতি ছিলেন তথাগত। মোদী জমানায় ২০১৫ সালে হন ত্রিপুরার রাজ্যপাল। খাতায়-কলমে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিলেও টুইটারে নিয়মিত সক্রিয় থেকেছেন। মোদীর প্রচার থেকে উগ্র হিন্দুত্বের টুইট করে গিয়েছেন তথাগত। শিক্ষাগত যোগ্যতাও ঈর্ষণীয়। মেট্রোর চিফ ইঞ্জিনিয়ার, যাদবপুরের অধ্যাপকও ছিলেন তথাগত রায়। সেই তাঁকেই এবার সামনে এনে দিলীপকে কোণঠাসা করতে চাইছে বিজেপির একাংশ।
Spoke to Dilip Ghosh,Kailash Vijayvargiya,Subrata Chatterjee & Shiv Prakash today. Told them of arriving tomorrow at 4 pm,will be seeing them in 3/4 days to rejoin BJP. They all welcomed me but warned me of the Covid situation in Kolkata and asked me to take care. I am grateful.
— Tathagata Roy (@tathagata2) August 22, 2020
অতিসম্প্রতি অনাবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে ফেসবুকের আলাপচারিতায় দিলীপ ঘোষকে নিশানা করেছিলেন তথাগত। বলেছিলেন,''গরুর দুধে সোনা, গোমূত্র পান- এসব বাঙালি নেয় না। আমি সক্রিয়ভাবে বিজেপি করব।'' তাহলে কি দিলীপের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চলেছেন তথাগত। বিশেষ করে শিক্ষাগত যোগ্যতায় দিলীপ তাঁর ধারেকাছে নেই। আবার অভিজ্ঞতাতেও। কিন্তু দিলীপের সঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক সাফল্য। বিধায়ক হওয়ার পর সাংসদ হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর জমানাতেই রাজ্যে লোকসভা ভোটে প্রথমবার ১৮টি আসন পেয়েছে বিজেপি। সব জল্পনা উড়িয়ে তথাগত রায় টুইটারে জানিয়েছেন,''কিছু লোক প্রচার করছে আমি নাকি আবার বিজেপিতে যাচ্ছি। বিজেপির ভিতরে ঝগড়া করার জন্য। এটা যদি মূর্খতার জন্য হয় তাহলে ঠিক আছে। আর যদি বদ উদ্দেশ্যে হয় তাহলে তো বলবো এরা প্রশান্ত কিশোরের গুপ্তচর।''
কিছু লোক প্রচার করছে আমি নাকি আবার বিজেপিতে যাচ্ছি বিজেপির ভিতরে ঝগড়া করার জন্য |
এটা যদি মূর্খতার জন্য হয় তাহলে ঠিক আছে |
আর যদি বদ উদ্দেশ্যে হয় তাহলে তো বলবো এরা প্রশান্ত কিশোরের গুপ্তচর |— Tathagata Roy (@tathagata2) August 22, 2020
রাজনীতি ছেড়ে রাজ্যপাল। তারপর রাজ্যপাল থেকে রাজনীতিতে ফেরার নজির রয়েছে অতিসম্প্রতিই। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত রাজ্যপাল হওয়ার পর ফিরে এসেছেন সক্রিয় রাজনীতিতে। ফলে তথাগতর রাজনীতিতে ফেরা নজিরবিহীন নয়। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, একুশের আগে দিলীপ-মুকুল নিয়ে এমনিতেই বিজেপি ল্যাজেগোবরে। তার উপরে তথাগত আসা মানে একে রামে রক্ষে নেই, সুগ্রীব দোসর'।
আরও পড়ুন- বেসরকারি হাসপাতালে চড়া বিলের অসুখ সারাতে কড়া ডোজ স্বাস্থ্য কমিশনের