Panchayat Election 2023: ভোটের দিন আনাচে কানাচে দাঁড়িয়ে থাকবে হাজার হাজার কাজল শেখ, হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার
Panchayat Election 2023: অনুব্রত জেলে যাওয়ার পর বীরভূমে তৃণমূলের কোর কমিটিতে এসেছেন জেলার একসময়ে ডাকাবুকো নেতা কাজল শেখ। দলের সভায় এদিন কাজল বলেন, খেতমজুর, মধ্যবিত্ত ভাইদের সংঘবদ্ধ করে ওদের খেদিয়েছিলাম। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নানুরে জোড়া ফুল ফুটিয়েছিলাম। সেই সময়ের অত্যাচারের কাহিনী কারও অজানা নয়
প্রসেনজিত্ মালকার: বীরভূমে পঞ্চায়েতে ভোটের উত্তাপ বাড়িয়েছিলেন নানুরের দাপুটে নেতা কাজল শেখ। রবিবার নানুরের দাসকলগ্রাম করেয়া ১ নম্বর অঞ্চলে দলের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিএমকে হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতা। তাঁর সাফ কথা ভোটের দিন আনাচে কানাচে দাঁড়িয়ে থাকবে হাজার হাজার কাজল শেখ। বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন তো?
আরও পড়ুন-বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে আঁচড় কাটতে দেব না: অভিষেক
অনুব্রত জেলে যাওয়ার পর বীরভূমে তৃণমূলের কোর কমিটিতে এসেছেন জেলার একসময়ে ডাকাবুকো নেতা কাজল শেখ। দলের সভায় এদিন কাজল বলেন, খেতমজুর, মধ্যবিত্ত ভাইদের সংঘবদ্ধ করে ওদের খেদিয়েছিলাম। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নানুরে জোড়া ফুল ফুটিয়েছিলাম। সেই সময়ের অত্যাচারের কাহিনী কারও অজানা নয়। খুন, সন্ত্রাস, রাহাজানির শিকার আমিও। আমরা দুই দাদা ও বাবাকে হারিয়েছি। ওইসব লাল নিশানকে ভয় পাই না। এখনওপর্যন্ত উপরওয়ালা ছাড়া আর কাউকে ভয় পাই না। যেখানে অন্যায় হয়েছে সেখানেই রুখে দাঁড়িয়েছি। নানুরের ইতিহাস ওল্টালে দেখবেন।
বামপ্রার্থীর উদ্দ্যেশ্য কাজল বলেন, এই শাসপুরে যে ভাইটি বামফ্রন্টের প্রার্থী তিনি হয়তো ভাবছেন জয়ী হবেন। আসলে তিনি মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন। আমরা এখনও বেঁচে আছি। নানুরে আমরা একা নই। আমার মতো হাজার হাজার কাজল সেখ তৈরি হয়ে গিয়েছে। তারা বাড়িতে বাড়িতে আনাচে কানাচে বসে থাকবে। ভোটের দিন দেখে নেবেন আপনারা কোন রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন। বামফ্রন্টের একটা অংশ ভেঙে গিয়েছে। সেই কুখ্যাত হার্মাদদের একাংশ আর নেই। তারা এখন বিজেপির ছত্রছায়ায় গিয়েছে। সিপিএমের হার্মাদের বলে যেতে চাই, ১৫টি অঞ্চলে আপনাদের ভোট নেই। ১৭টি অঞ্চলের মধ্যে ২টিতে ভোট আছে। আমার মতো হাজার হাজার কাজল সেখ দাঁড়িয়ে থাকবে। বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন তো? ভোটকেন্দ্রে পৌঁছাতে পারবেন তো? মিলিয়ে নেবেন কথাটা। থাকব যখন বলে যাচ্ছি, থাকব আমি। হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগাতে দেব না। কোনও মায়ের কোল খালি হতে দেব না। আমি যেমন আমার ভাইকে হারিয়েছি তেমনি আর কারও ভাইকে হারাতে দেব না। যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করবে, যারা রক্ত নিয়ে খেলবে তাদের জন্য দাঁড়িয়ে থাকব। বিজেপি বন্ধুদের বলুন, তোমরা তো ১৮ জনকে দিল্লিতে পাঠিয়েছো। দিল্লি থেকে কী এনেছো বাংলার জন্য? তোমরা বাংলার জন্য অবজ্ঞা এনেছো।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিতর্কিত বক্তব্য রেখেছিলেন কাজল শেখ। গত ১৭ এপ্রিল লাভপুরের ফুল্লরাতলার এক সভায় কাজল বলেন, বিজেপি গত কয়েকদিন আগে সিউড়ি বলুন লাভপুর বলুন ধমকানো চমকানোর চেষ্টা করেছিল। তাদের উদ্দেশ্যে বলব, আগামী দিনে হাজার হাজার কাজল শেখ বাংলায় গর্জে উঠেছিল, সঙ্গবদ্ধভাবে সিপিএমকে তাড়িয়েছিল। তাদের দিকে একবার তাকিয়ে দেখবেন। তারা যদি আবার গর্জে ওঠে বাংলার মানুষদের বঞ্চনা করছে। বিরোধী নেতাদের উদ্দেশ্য কাজল শেখ বলেন, “আপনারা আবার ভোটের সময় আসবেন। তখন সঙ্গবদ্ধ হয়ে লাঠি দিয়ে, ঝাঁটা দিয়ে ওদের তাড়া করুন। সঙ্গে আমরা থাকব”। যে ভাবে সিপিআইএম এর হার্মাদদের তাড়িয়েছি, শুধু বাংলা নয় ভারতবর্ষ থেকেও তাড়াব।