কাঁকড়ার খোঁজে নদীর জলে নিবিষ্ট মন, টুটি চিপে ধরে জঙ্গলে নিয়ে গেল বাঘ
হঠাত্ই একটা শব্দ পেয়ে ঘাড় ঘোরাতেই সব শেষ। ততক্ষণে কৃষ্ণপদকে ঘাড়ে থাবা বসিয়েছে বাঘ। বাকি দুই সঙ্গী রে রে করে চিত্কার করেও রক্ষা করতে পারেননি। টুটি চিপে ধরেই কৃষ্ণপদকে ততক্ষণে নিজের ডেরায় নিয়ে গিয়েছে বাঘ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পরিবারে তিনিই একমাত্র রোজগেরে। সুন্দরবনের খাঁড়িতে কাঁকড়া ধরে সারাদিনে যা আয় হয়, তা ফুরিয়ে যায় সংসারের চাল-নুন কেনার গার্হস্থ্য অনুশাসনেই। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার নৌকা নিয়ে নদীতে গিয়েছিলেন কৃষ্ণপদ মণ্ডল। সঙ্গে ছিলেন ঝড়খালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ত্রিদিবনগর গ্রামেরই আরও দুই বাসিন্দা বনীন্দ্র মন্ডল ও উত্তম মিস্ত্রি। সাধারণত, কৃষ্ণপদ এই দু’জনের সঙ্গেই ন্দরবন উপকূল থানা এলাকাভূক্ত পীরখালি ২ নম্বর জঙ্গল লাগোয়া মনসাখালি খাল এলাকায় কাঁকড়া ধরতে যান।
আরও পড়ুন: অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ফাঁস করার হুমকি, প্রেমিকের মেসেজ পেয়েই আত্মঘাতী ছাত্রী
বৃহষ্পতিবার সারাদিন ধরে কাঁকড়া ধরে তারা I রাতে নৌকাতেই রান্না করে খাওয়া দাওয়া সেরে তিনজনই ঘুমায় I শুক্রবার সকালের আলো ফুটতেই আবার কাঁকড়া ধরতে মনসাখালি খালে যান। তখন সকলেরই চোখ ছিল জলের দিকে। নিবিষ্ট মনে কাঁকড়ারই খোঁজ করছিলেন তাঁরা। কিন্তু এরইমধ্যে পিছন থেকে যে ‘তার’ আগমন হবে, ঠাওর করতে পারেননি কেউ। হঠাত্ই একটা শব্দ পেয়ে ঘাড় ঘোরাতেই সব শেষ। ততক্ষণে কৃষ্ণপদকে ঘাড়ে থাবা বসিয়েছে বাঘ। বাকি দুই সঙ্গী রে রে করে চিত্কার করেও রক্ষা করতে পারেননি। টুটি চিপে ধরেই কৃষ্ণপদকে ততক্ষণে নিজের ডেরায় নিয়ে গিয়েছে বাঘ।
আরও পড়ুন: গাছের ডালে একই দড়িতে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে যুগল, কারণ ঘিরে রহস্য
আশঙ্কা থাকত সবসময়ই। কিন্তু এভাবে আশঙ্কা সত্যি হবে, তা বিশ্বাস করতে পারছেন না কৃষ্ণপদর পরিবার। খবর দেওয়া হয়েছে পুলিস ও বন দফতরকে।