বিধানসভা ভোটে মালদার সব আসন পাবে তৃণমূলই, রোড শো থেকে Suvendu-কে চ্যালেঞ্জ Mausam এর

সাংসদ মৌসম বেনজির নূর (Mausam Benazir Noor) বলেন, "আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আদর্শে দল করি। বেশ কিছু সুবিধাবাদী নেতা-নেত্রী আছেন, যারা সময় বুঝে অন্য দলে ঝাঁপ মারেন। এরকম নেতা- নেত্রীদের আমাদের দরকার নেই। অনেকেই বলেছিলেন মালদায় নাকি তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল রয়েছে । কিন্তু আজকের মহামিছিল প্রমাণ করে দিয়েছে যে মালদায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সবকটি আসন তৃণমূলের দখলে থাকবে।"

Updated By: Dec 23, 2020, 06:37 PM IST
বিধানসভা ভোটে মালদার সব আসন পাবে তৃণমূলই, রোড শো থেকে Suvendu-কে চ্যালেঞ্জ Mausam এর
নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষিবিল ও মূল্যবৃদ্ধি সহ নানা জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ‘মেগা রোড শো ও জনসভা’ কার্যত শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সমালোচনা শো-তে পরিণত হল। শহরের রাজপথ অবরুদ্ধ হয়ে রইল প্রায় ঘণ্টা তিনেক। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর (Mausam Benazir Noor), প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী সহ শীর্ষ নেতারা এদিন অগণিত তৃণমূল যুব কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) কর্মী নিয়ে শহরের রাজপথে মিছিল করেন। মিছিলে বিজেপি বিরোধী স্লোগানের পাশাপাশি 'মীরজাফর', 'গদ্দার', 'শুভেন্দু অধিকারী দূর হঠো' আওয়াজও উঠল। 

এদিন দুপুর একটায় মালদা শহরের কলেজ মাঠ এলাকা থেকে শুরু হয় যুব তৃণমূলের উদ্যোগে এই মহামিছিল । যার নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের মালদা জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে মালদা শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে শেষ হয় তৃণমূলের এই মহামিছিলটি। মিছিলের জেরে এদিন মালদা শহর কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। মিছিল শেষে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনের মঞ্চে এদিন একসঙ্গে দেখা গেল প্রাক্তন দুই মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র এবং কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে। পাশাপাশি এদিনের মহা মিছিল এবং সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৌসম বেনজির নূর (Mausam Benazir Noor), ইংরেজবাজার টাউন তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি, দলের জেলার কো-অর্ডিনেটর বাবলা সরকার, অম্লান ভাদুড়ি, মানব বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলার মহিলা সভানেত্রী চৈতালি সরকার, প্রাক্তন কাউন্সিলর কাকলি চৌধুরী সহ অন্যান্যরা। 

এদিন কৃষি বিলের প্রতিবাদ জানিয়ে এই মহামিছিল এবং জনসভার ডাক দেওয়া হয়েছিল মালদা জেলা যুব তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। যার উদ্যোক্তা ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস। কিন্তু কৃষি বিলের থেকেও বেশি এদিন প্রত্যেক নেতা  শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যাওয়া গাজোলের বিধায়ক দিপালী বিশ্বাসের উদ্দেশে আক্রমণ শানালেন। মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চৈতালী ঘোষ সরকার এদিন বিজেপিকে পরামর্শ দেন, "শুভেন্দুবাবুদের মত ব্যক্তিত্বদের নিয়ে সাবধানে ঘর করবেন। এরা যে কোনও সময় ছোবল মারতে পারেন।" 

অন্যদিকে নিজের বক্তব্যে তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা সাংসদ মৌসম বেনজির নূর (Mausam Benazir Noor) বলেন, "আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আদর্শে দল করি। বেশ কিছু সুবিধাবাদী নেতা-নেত্রী আছেন, যারা সময় বুঝে অন্য দলে ঝাঁপ মারেন। এরকম নেতা- নেত্রীদের আমাদের দরকার নেই। অনেকেই বলেছিলেন মালদায় নাকি তৃণমূলের (TMC) অন্দরে কোন্দল রয়েছে । কিন্তু আজকের মহামিছিল প্রমাণ করে দিয়েছে যে মালদায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সবকটি আসন তৃণমূলের দখলে থাকবে।"

আরও পড়ুন, 'দলের সঙ্গে কোনও দূরত্ব নেই', জল্পনা উড়িয়ে বললেন Rajib

'বাসুদেব বাউলের কষ্ট ১০ বছর পর মনে পড়ল TMC-র', কটাক্ষ BJP নেতা Anupam-এর

.