Magrahat: তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সরব দলেরই নেতা, সরকারি প্রকল্পর টাকা তছরুপের বড় অভিযোগ
তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা ডাকল তৃণমূল সদস্যরাই। মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার নেতড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।
নকীব উদ্দিন গাজী: ফের প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দল। নিজের দলের পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা ডাকল তৃণমূলের ১০ জন সদস্য। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা ডাকল তৃণমূল সদস্যরাই। মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার নেতড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।
অভিযোগ ২০০৮-এ রহমত গাজি তৃণমূলের প্রধান ছিলেন। পরের বছর সিপিএম দখলে যায় এই পঞ্চায়েত। তখন পঞ্চায়তে প্রধান হন অদুত গাজি। রাজ্যর পালাবদল হলেও ২০১৮ পর্যন্ত নেতড়া পঞ্চায়েত ছিল লাল দূর্গের হাতে। তারপরের নির্বাচনে জিতে পঞ্চায়েত দখলে করে তৃণমূল। প্রধান অদুত গাজি সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। পঞ্চায়েতে সদস্য সংখ্যা ১৭জন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে লালদূর্গ ভেঙে ঘাসফুল ফোটালেও ঘাসফুলের অন্দরে চলছিল ঠান্ডা লড়াই। দুবছর ঘুরতে না ঘুরতে প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সরব হন সদস্যরা। একাধিকবার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এরপরেই ১৬ জন সদস্যর মধ্য দশজন প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। চলতি মাসের ২০ তারিখে ডায়মন্ড হারবার এক নম্বর ব্লকের বিডিও ও ডায়মন্ড হারবার থানার আইসির কাছে লিখিত অনাস্থা আনেন বিক্ষুব্ধরা।
প্রসঙ্গত, এই পঞ্চায়েতের বুথ সংখ্যা ২২টা। বিক্ষুব্ধ সদস্যদের দাবি, প্রধান সদস্যদের না জানিয়ে কাজ করা, পঞ্চায়েতে একশ দিনের কাজের দুর্নীতি, সরকারি প্রকল্পর টাকা তছরুপ একাধিক অভিযোগে রয়েছে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। তাদের আরও অভিযোগ মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা সহ জেলাপরিষধের সদস্যা তন্দ্রা পুরকাইতের অনুগামী এই প্রধান অদুত গাজি। ফলে দলকে জানিয়ে কোনও লাভ না হওয়াতে অনাস্থা ডাকে বিক্ষুব্ধ সদস্যরা।
২০২৩শে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার আগে অনাস্থা। দীর্ঘদিন ধরে ঠান্ডা লড়াইয়ের অবশেষে পর প্রকাশ্য গোষ্ঠী কোন্দল বলে অভিযোগ বিরোধীদের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান। তাঁর দাবি, ''যারা অনাস্থা ডেকেছে তারা ২০২১ সালে বিধানসভার পর দল থেকে বহিস্কার হয়। বিরোধীদের হয়ে কাজ করে। দলের কোনও কাজ না জানিয়ে করা হয়।''
তিনি আরও জানান, টাকা চাওয়াতে দিতে না পাড়ায় বাধ্য হয়ে এক জোট হয়ে দশজন তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকে। তবে তৃণমূলের অন্দরের এই গোষ্ঠী কোন্দলে বিরোধীরা যে অক্সিজেন পাবে তা মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ।
আরও পড়ুন, Suvendu Adhikari: "কাঁথিতে ঢুকলে সিআরপিএফ-এর সামনেই মারব", শুভেন্দুকে তৃণমূল নেতার 'হুমকি'