Recruitment scam: চাকরি দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক পিএসি চেয়ারম্যান বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী!
কৃষ্ণ কল্যাণীর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, "আমার এলাকায় যাঁরা নেতারা আছেন, তাঁরা সংযত থাকবেন। আমার বিধানসভা এলাকায় জনগণের কাছ থেকে দুর্নীতি হিসেবে কেউ যদি টাকা তুলে থাকেন, সবার আগে তাঁকে জেলে ভরার কাজ আমি করব।"
ভবানন্দ সিং: চাকরি দুর্নীতি নিয়ে এবারে বিস্ফোরক পিএসি চেয়ারম্যান তথা রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। টাকা নেওয়ার সঙ্গে যাঁরা টাকা দিয়েছেন, তাঁরাও সমান দোষী বলে মন্তব্য কৃষ্ণ কল্যাণীর। বিধায়ক তাঁর মন্তব্যে দুর্নীতি হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন বলে পালটা কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তাঁর বক্তব্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রায়গঞ্জের মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের টেনহরি গ্রামে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে যান রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। সেখানেই একটি ছোটো জনসভার ব্যবস্থা ছিল। সেই মঞ্চে ছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল সহ অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বও। সেই মঞ্চেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর দাবি, "কী করে দুর্নীতি হয়? একজন ব্যক্তি যদি ঘুষ নিয়ে থাকে, হাজারো ব্যক্তি ঘুষ দিয়েছে। আমাদের সংবিধানে যদি ঘুষ নেওয়াটা অন্যায় থাকে তাহলে ঘুষ দেওয়াটাও অন্যায়। আপনার কাছে ১০০ টাকা আছে, আর কেউ আপনার সামনে ২ হাজার টাকা নিয়ে ঘুর ঘুর করলে আপনার মনটা ডগমগ করবে কী করবে না! সিস্টেমটাকে বদলাতে হবে। শপথ করব যে, না অন্যায় করব না সহ্য করব। না ঘুষ দেব,না ঘুষ নেব। দল দুর্নীতি করে না, ব্যক্তি দুর্নীতি করে।"
এর পাশাপাশি এলাকার তৃণমূল নেতাদের প্রতি সাবধানবাণীও শোনা যায় তাঁর মুখে। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, "আমার এলাকায় যাঁরা নেতারা আছেন, তাঁরা সংযত থাকবেন। আমার বিধানসভা এলাকায় জনগণের কাছ থেকে দুর্নীতি হিসেবে কেউ যদি টাকা তুলে থাকেন, সবার আগে তাঁকে জেলে ভরার কাজ আমি করব।"
এদিকে প্রকাশ্য সভায় দলবদলু বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর এই মন্তব্যে সরব জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সহ-সভাপতি নিমাই কবিরাজ বলেন, 'তিনি কোন দলের বিধায়ক সেটা আগে ঠিক করুন। আর চাকরি চুরি যে হয়েছে সেটা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট, সেটা তিনি মেনেই নিয়েছেন। আর রাজ্য জুড়ে চাকরি চোরদের বীরের মর্যাদা দিচ্ছেন তাঁদের নেত্রী। মানুষ বুঝে গেছে, নির্বাচনে তাঁদের জবাব দেবে মানুষ।'