'পরিযায়ী শ্রমিকরা জামাই আদর পেতে চাইছেন, তা দেওয়া কখনই সম্ভব নয়'
পরিযায়ী শ্রমিকদের একটু মানিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। তিনি বলেন, "পরিযায়ী শ্রমিকরা জামাই আদর চাইছেন, তা দেওয়া সম্ভব নয়।"
অনেক কষ্টে নিজের ঘরে ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। জেলায় তাঁদের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে তাঁদের খাবার, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। পর্যাপ্ত খাবার মিলছে না বলেও অভিযোগ করছেন অনেক পরিযায়ী শ্রমিক। এরই মধ্যে বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূল সাংসদের।
পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে শতাব্দী রায়ের মন্তব্য
শনিবার বীরভূমের সাঁইথিয়ার আমোদপুর বিডিও প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ। সেখানে ব্লক প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক থেকে বেরনোর পর পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেন, "পরিযায়ী শ্রমিকরা সবাই কোয়ারেন্টিন সেন্টারে জামাই আদর পেতে চাইছেন, তা দেওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয়। এক সঙ্গে এত জন রয়েছেন, কেউ মাছ পেলে বলছেন মাংস পাইনি, কেউ মাংস পেলে বলছেন ডিম পাইনি। এভাবে কী করা যাবে! বাড়িতে এক জন আসা আর হাজার জন একসঙ্গে আসা তো এক ব্যাপার কখনই হতে পারে না।" পরিযায়ী শ্রমিকদের একটু মানিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বিরোধীদের প্রশ্ন
কিন্তু শতাব্দী রায়ের এই মন্তব্য ঘিরেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, যেখানে কোয়ারেন্টিন সেন্টারের মধ্যেই সাপের কামড় খেতে হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের, সেখানে নিরাপত্তা বা পরিষেবা নিয়ে এহেন মন্তব্য মানায় না। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে পশ্চিম মেদিনীপুরে স্কুলঘরে কোয়ারেন্টিন সেন্টারের মধ্যে এক পরিযায়ী শ্রমিককে কালাচ সাপে কামড়ায়।