Halisahar TMC: তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের? পার্টি অফিসেই আক্রান্ত কাউন্সিলর!
দুর্গাপুরের কাঁকসায় সংঘর্ষে জড়ালেন তৃণমূলের বর্তমান ও প্রাক্তন ব্লক সভাপতির অনুগামীরা। আহত ৩। তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ভাঙড়েও.
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? হালিশহরে দলীয় কার্যালয়েই আক্রান্ত কাউন্সিলর! যাঁর বিরুদ্ধে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তিনিও তৃণমূলেরই নেতা। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। কাউন্সিলরের বাড়িতে সাংসদ অর্জুন সিং, বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক-সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা।
ঘটনাটি ঠিক কী? হালিশহর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় দাস ওরফে শিবা। রোজকার মতোই গতকাল সন্ধ্যেবেলায়ও তেঁতুলতলা এলাকার দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন তিনি। কাউন্সিলরের অভিযোগ, ঘড়িতে তখন সাড়ে ন'টা। রাতে পার্টি অফিসে ঢুকে তাঁর উপর অতর্কিতে হামলা চালান তৃণমূল নেতা দেবাশিস পাল। এমনকী, প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়!
আরও পড়ুন: Katwa: সুদ না মেটানোয় সরকারি কর্মীকে দড়ি বেঁধে ফেলা হয় রেললাইনে, এবার ছেলেকে ক্রমাগত হুমকি
এদিন সকালে কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় দাসের বাড়িতে যান ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং, নৈহাটির বিধায়ক মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী ও কাঁচরাপাড়ার পৌরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারী। সঙ্গে হালিশহর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান শুভঙ্কর ঘোষ, এমনকী প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ও। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সকলেই। কাউন্সিলরের উপর হামলার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দেবাশিস পাল। তাঁর দাবি, 'মারধর করলে তো রক্তাক্ত অবস্থায় থাকতেন। কাউকে ডাকতে পারতেন না। বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছেন কাউন্সিলর। আমরা যখন ভাসান দিয়ে এসে তেঁতুলতলায় দাঁড়ালাম, তখন বাজে মন্তব্য় করতে শুরু করে উনি'।
এদিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়েও। অভিযোগ, দুর্গাপুর অঞ্চলে যাঁরা আইএসএফ ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা নাকি দলের পুরনো কর্মীদের মারধর করেছেন!আহত ৪। পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় আবার চাতাল তৈরি করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূলের বর্তমান ও প্রাক্তন ব্লক সভাপতির অনুগামীরা। সংঘর্ষে জখম দু'পক্ষের মোট ৩ জন।