WB Panchayat Election 2023: পাশের বুথে বোমা পড়তেই দৌড়ে বেরিয়ে আসেন, মর্মান্তিক পরিণতি তৃণমূল কর্মীর
WB Panchayat Election 2023: ওদিনের ঘটনা নিয়ে পুলিসের এক কনস্টেবল বলেন, বাথরুমে গিয়েছিলাম। সেইসম বিকট শব্দে বোমা পড়ল। সব ভোটকর্মী পালিয়ে যায়। আমি ঘরে লুকিয়ে পড়েছিলাম। পালাতে পারিনি। চারদিকে গুলি চলছিল, বোমা পড়ছিল
তথাগত চক্রবর্তী: ভোটের দিন শেষ মুহূর্তে ফের এক তৃণমূল কর্মীর প্রাণ গেল। শনিবার কুলতলির জালাবেড়িয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েতের পশ্চিম গাবতলায় বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন আবু সালেম খান(৪৮) নামে এক তৃণমূল কর্মী। স্থানীয় সূত্রে খবর এদিনে ভোটগ্রহণের শেষপর্বে বুধ দখল করাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সেই সময়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুলি করে খুন করা হয় আবু সালেমকে। তৃণমূলের দাবি, সিপিএম ও বিজেপি মিলে ওই কাজ করেছে।
আরও পড়ুন-আটকে হাজার হাজার পুণ্যার্থী, ফের থমকে গেল অমরনাথ যাত্রা
আবু সালেমের মৃত্যু নিয়ে দুটি তত্ব সামেন আসছে। একটি মহলের তরফে বলা হচ্ছে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবু সালেমে। সেইসময় বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। তার মধ্যেই পড়ে যান সালেম। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, বুথে বোমা পড়ছে দেখে বেরিয়ে পাশের বুথে যান সালেম । সেই সময় তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে পরে গুলি করা হয়। দেহ পড়ে ছিল বুথের পাশের একটি পুকুরে। বিজেপির তরফে তাদের ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কাউকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। তবে তৃণমূলের তরফে কুলতলি থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
মৃতের ছেলে বলেন, বাবা বলল ভোটে দিতে যাচ্ছি। তারপর সন্ধে পর্যন্ত ওকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে দেহ পাওয়া য়ায়। যখন বাবাকে পেলাম তখন সব শেষ। বিজেপি, সিপিএম এর পেছনে রয়েছে। মাথায় গুলি করেছে।
এনিয়ে এলাকার এক বিজেপি নেতা বলেন, আবু সালেম ওই বুথের কেউ নয়। ওই বুথে রিগিং চলছিল। আমাদের ১১ নম্বরের প্রার্থী মাধবী মহলদার যখন ওই বুথে যান তখন তাঁকে ব্যাপকভাব মারধর করা হয়। বাঁশ দিয়ে মারা হয় মাধবীদিকে। সেইসময় আমাদের কর্মীরা মাধবীদিকে বের করে নিয়ে যেতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এর পরে কোনও কারণে ওদের নিজেদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায়। তা থেকেই মৃত্যু। রক্ত নিয়ে হোলি খেলা মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের একটা সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কী হয়েছিল গতকাল? ওদিনের ঘটনা নিয়ে পুলিসের এক কনস্টেবল বলেন, বাথরুমে গিয়েছিলাম। সেইসম বিকট শব্দে বোমা পড়ল। সব ভোটকর্মী পালিয়ে যায়। আমি ঘরে লুকিয়ে পড়েছিলাম। পালাতে পারিনি। চারদিকে গুলি চলছিল, বোমা পড়ছিল। সেকেন্ড পোলিং অফিসারও বোম পড়ার কথা বলেন। প্রাণভয়ে তিনি লুকিয়ে পড়েন পাশের একটি বাড়িতে।
তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মহম্মদ ইয়ামিনউদ্দিন মিস্ত্রি বলেন, যিনি মারা গিয়েছেন তাঁর নাম আবু সালেম খান। সিপিএম-বিজেপির যৌথ চক্রান্তে এই ঘটনা ঘটেছে। ওই বুথটিকে দখল করার জন্য আগেভাগেই লাঠি গুলি মজুত করে রেখেছিল। লাইন নিয়ে বাকবিতন্ডা হতে হতে একটা গেলামাল হয়। ওরা বোমা মারে। বোমার শব্দ পেয়ে আবু সালেম পাশের বুথ থেকে এসে হাজির হয়। তখনই তাকে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়, মুখ থেঁথলে দেওয়া হয়। পরে ওকে গুলি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম গাবতলা ১১৬ নম্বর বুথে।