বাংলায় বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক, পদ্মশিবিরে যোগ দিচ্ছেন হাজারে হাজারে শাসকদলের কর্মী

তৃণমূলের পঞ্চায়েত ভাগ্য যেন সুতোয় ঝুলছে! একের পর এক পঞ্চায়েত দখল!

Updated By: Jun 6, 2019, 06:03 PM IST
বাংলায় বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক, পদ্মশিবিরে যোগ দিচ্ছেন হাজারে হাজারে শাসকদলের কর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যজুড়ে যেন বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক চলছে। লাইন পড়ে গিয়েছে বিজেপিতে যোগদানের জন্য। 'কাতারে কাতারে' তৃণমূল কর্মী-সমর্থক যোগদান করছে বিজেপিতে। আজ পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের মকরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান, উপপ্রধান সহ ১৫ জন সদস্য যোগদান করলেন বিজেপিতে। এরফলে মকরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল তৃণমূলের।   

ফের ভাঙন তৃণমূলে। মকরামপুর পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনই এতদিন তৃণমূলের দখলে ছিল। কিন্তু আজ প্রধান যোগেন্দ্রনাথ দলুই ও উপপ্রধান বীরেন্দ্রনাথ পণ্ডিতের নেতৃত্বে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা যোগ দেন বিজেপিতে। একইসঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে এবারে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী সোমা দণ্ডপাঠ। গত পঞ্চায়েত সমিতিতে সভাপতি ছিলেন এই সোমা দণ্ডপাঠ। উল্লেখ্য, এরফলে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে শক্তিবৃদ্ধি হল বিজেপির।

পঞ্চায়েত ভোটের পর দীর্ঘদিন কেটে এখনও বোর্ড গঠন হয়নি। ১০ জুন বোর্ড গঠনের দিন স্থির হয়েছে। এখন এই পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির সদস্য ছিল ১৩ জন, আর তৃণমূলের ছিল ১২ জন। এখন তৃণমূল থেকে একজন বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা বেড়ে হল ১৪। আর তৃণমূলের কমে হল ১১। এরফলে কেশিয়ারি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড বিজেপির গঠন শুধু সময়ের অপেক্ষা। প্রসঙ্গত, এই পঞ্চায়েত সমিতিটি দখল করার জন্য বহু চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকেও। কিন্তু শেষপর্যন্ত ভাঙন রোখা আর সম্ভবপর হল না। হাতছাড়া হল কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতি।

এর পাশাপাশি আজই গোয়ালতোড়ের সারাবত এলাকায় চার পঞ্চায়েত সদস্য কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মী নিয়ে যোগ দেন বিজেপিতে। যদিও পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতির দাবি, "বন্দুকের বাঁটের সামনে দাঁড় করিয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিজেপিতে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।" শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর নয়, এদিন বর্ধমান সদরেও ২০০-র বেশি শাসকদলের কর্মী ও নেতা বিজেপিতে যোগ দিলেন।

আরও পড়ুন, অঞ্জু ঘোষের নাগরিকত্ব প্রমাণে বার্থ সার্টিফিকেট প্রকাশ করল বিজেপি

বর্ধমানের ঘোড়দৌড়চটিতে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে যুব সভাপতি শ্যামল রায়ের হাত থেকে গেরুয়া পতাকা হাতে নেন তাঁরা। এই দলে রয়েছেন বৈকুন্ঠপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮ জন তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য। মোট ১৮ সদস্যের  পঞ্চায়েতে এতদিন সবাই-ই ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। কিন্তু এখন ৮ জন বিজেপিতে চলে যাওয়ায় এখানেও কার্যত সুতোয় ঝুলছে পঞ্চায়েতের ভবিষ্যৎ। অন্যদিকে, রানাঘাটে বিজেপি দক্ষিণ শাখায় সাংসদ দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন সিপিআইএম, কংগ্রেস ও তৃণমূলের প্রায় ৩ হাজারের  বেশি সমর্থক।

.