কেশপুরে দুই গোষ্ঠীর বোমাবাজিতে মৃত ২, আহত ৩, গ্রেফতার ১২

আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। 

Updated By: Sep 18, 2020, 04:11 PM IST
কেশপুরে দুই গোষ্ঠীর বোমাবাজিতে মৃত ২, আহত ৩, গ্রেফতার ১২

নিজস্ব প্রতিবেদন:"বিশ্বকর্মা পূজোর দিন বোমা,গুলিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কেশপুর। বোমার আঘাতে মৃত এক ১৪ বছরের কিশোর সহ ২, আহত ৩। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর থানার অন্তর্গত দামোদরচক এলাকায় বেশ কয়েকজন যুবক বসে আড্ডা দিচ্ছিল। অভিযোগ, সেইসময় আরেকদল য়ুবক এসে ওই যুবকদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। মুহুর্মুহু বোমাবাজিতে  লুটিয়ে পড়ে শেখ মাজাহার নামে ১৪ বছরের এক কিশোর। ঘটনাস্থলেই সেই কিশোরের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মহম্মদ নাসিম নামে আরও একজনের। এছাড়া এক মহিলা সহ তিনজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।

সূত্রের খবর এলাকায় ক্ষমতা দখল নিয়ে উত্তম ত্রিপাঠীর সঙ্গে সঞ্জয় পানের দীর্ঘদিনের বিবাদ। মৃত কিশোরের পরিবারের অভিযোগ, উত্তম ত্রিপাঠীর লোকজন বৃহস্পতিবার বিকেলে সঞ্জয় পানের ঘনিষ্ট একজনকে মারধর করে । আর এই নিয়েই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। রাতে আড্ডা দেওয়ার সময় চারদিক থেকে তাদের ঘিরে মুহুর্মুহু বোমাবাজি করা হয়। মৃত নাসিমের দাদা শেখ তানসুর আহমেদের অভিযোগ,”  কেশপুরে তৃণমূলের পূর্বতন ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পানের সাথে বর্তমান ব্লক সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের। এদের বিবাদের কথা বারবার দলকে জানালেও দলের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।“ মৃত কিশোরের দাদার দাবি স্বীকার করে নিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি জানিয়েছেন, “হামলাকারীরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের কর্মী। তবে এটি একটি পারিবারিক বিবাদ। এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোন সম্পর্ক নেই।“

এই ঘটনার নিন্দা করে কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা জানান,”যারা গুলি বোমা হাতে নেয় তারা আর যাই হোক তৃণমূলের নীতি আদর্শ মেনে চলে না ।। যে বা যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে আমি বিধায়ক হিসেবে চাই তাদের কঠোর শাস্তি হোক।অনেকেই বলছে হামলাকারীরা তৃণমূল, কিন্তু আমি মনে করি তারা তৃণমূল হতে পারে না।“ বিধায়ক থেকে জলা সভাপতি প্রত্যেকেই  পুলিসকে নিরপেক্ষ তদন্ত করে দলের রং না দেখে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে আবেদন জানিয়েছে। জেলার পুলিস সুপার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন , এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ৪ জনকে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে ঘটনাস্থলে কেশপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

আরও পড়ুন- বিশ্বভারতীকাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হাইকোর্টের, তদন্ত সামলাতে গঠন ৪ সদস্যের কমিটি

.