নদিয়ায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবি পণের জন্যই খুন
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস
নিজস্ব প্রতিবেদন: নিজের ঘর থেকে উদ্ধার হল গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। মৃত গৃহবধূ রুম্পা ভট্টর পরিবারের অভিযোগ, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ধানতলা এলাকায়। তদন্তে নেমে রুম্পার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামী ও তার জামাইবাবুকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
চার বছর আগে রুম্পা ভট্টর বিয়ে হয় নদিয়ার ধানতলায়। এলাকার পঞ্চায়েত কর্মধ্যক্ষ শম্ভুনাথ দাস জানিয়েছেন, ভালোবেসে ধানতলার পাঁচবেড়িয়ার রাকেশ দাসকে বিয়ে করেছিল রুম্পা। বিয়ের এক বছর পর তাদের একটি মেয়েও হয়। কিন্তু রুম্পার পরিবারের অভিযোগ, পণের দাবিতে প্রায়শই রুম্পার উপরে চাপ দিত পেশায় কমপিউটার মেকানিক রাকেশ।
শনিবার রাতে বাড়িতে ছিল না রাকেশ। হঠাৎ রুম্পার বছর তিনেকের মেয়ের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা দেখেন ঘরের মধ্যে ঝুলছে রুম্পার দেহ। খবর পেয়ে ছুটে আসে রাকেশও। রুম্পাকে নিয়ে যাওয়া হয় শবদলপুর হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
রুম্পার পরিবারের অভিযোগ, পণের জন্য শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাদের মেয়েকে। খুনের পর তাকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। রুম্পার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে রাকেশ ও রাকেশের জামাইবাবুকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন-আর্চবিশপের চিঠিতে বিজেপিকে কটাক্ষ, নোটিস পাঠাল গুজরাট নির্বাচন কমিশন