লকডাউনে অনাহারে দিন কাটছে, 'সরকার সাহায্য করুন' আর্তি রোজগারহীন পুরোহিতদের
এই ভাবে চলতে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে বলেই মনে করছেন পুরোহিতেরা। এলাকার পুরহিত সন্দিপ চক্রবর্তী, অরবিন্দ ভট্টাচার্য, গৌতম চক্রবর্তী, নিত্যানন্দ শাহ-দের বক্তব্য প্রায় দেড় মাস যাবদ পুজো, বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রায় দেড় মাস কেটে গিয়েছে, ফের মেয়াদ বেড়েছে লকডাউনের। এই পরিস্থিতিতে বন্ধ সমস্ত আচার অনুষ্ঠান। পূজার্চনা, বিয়ে- অন্নপ্রাশনসহ সব অনুষ্ঠান বন্ধ। আর এতেই চরম সমস্যায় পড়েছেন পুরোহিতরা। এই তালিকায় রয়েছে মালবাজার মহকুমার পুরোহিতরাও। কীভাবে তাঁদের সংসার চলবে তা নিয়ে চিন্তিত প্রত্যেকেই।
শনিবার মালবাজার মহকুমার একটি কালি মন্দিরে একত্রিত হয়েছিল এলাকার সমস্ত পুরোহিতেরা। চলল বিস্তর আলোচনা। এই ভাবে চলতে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে বলেই মনে করছেন পুরোহিতেরা। এলাকার পুরহিত সন্দিপ চক্রবর্তী, অরবিন্দ ভট্টাচার্য, গৌতম চক্রবর্তী, নিত্যানন্দ শাহ-দের বক্তব্য প্রায় দেড় মাস যাবদ পুজো, বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ।
ফলে বহু পুরোহিত বাড়িতে বসেই দিন কাটাচ্ছে। লক ডাউনের জন্য সমস্ত অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিছে। বহু পুরহিত আছে, যাদের পুজো করে যে টা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চলে। তাই এই সকল পুরহিতদের বর্তমানে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।
কীভাবে চলবে আমাদের সংসার? এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে তাঁদের মুখে। অভিযোগ, "সরকারি কোনও সাহায্যে আমরা পাচ্ছি না। কবে লকডাউন উঠবে তার নিশ্চয়তা নেই।" মালবাজারের পুরোহিতরা বলছেন, সমাধান সূত্র খুঁজে পেতেই আমরা কালি মন্দির প্রাঙ্গণে নিজেরা আলোচনায় বসি। পাশাপাশি আমরা কিছু পুরোহিত নিজেরাই টাকা তুলে অসহায় পুরোহিতদের কিছু আর্থিক সাহায্য করি।
আলোচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, এর মধ্যেই সমস্ত পুরোহিত মালবাজার মহকুমা শাসক, বিডিও এবং নিজ এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত ডেপুটেশন দেবেন। যাতে সরকার তাঁদের দিকেও দৃষ্টিপাত করেন। এখন সরকারের সহযোগিতার দিকেই চেয়ে পুরোহিতেরা।