'বাংলার সরকারি বাবুদের থেকে বেশি বেতন পান উত্তর প্রদেশের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা'
এদিন বাঁশবেড়িয়ায় হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় সমর্থনে এক জনসভায় আদিত্যনাথ বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারিরা বঞ্চিত। সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে বেতন পান না তাঁরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পশ্চিমবঙ্গে মাটিতে পদ্ম ফোটাতে এবার চেষ্টার কসুর করছেন না বিজেপি নেতারা। রাজ্য নেতারা তো বটেই কেন্দ্রীয় নেতারাও একের পর এক সভা করে আক্রমণ শানাচ্ছেন রাজ্য সরকার তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তেমনই সোমবার তৃতীয় দফার নির্বাচনের আগের দিন রাজ্যে প্রচারের ঝড় তোলে বিজেপি। গোটা রাজ্যে মোট ৮টি সভা করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আর এদিন ঝোড়ো প্রচারে চারটি সভাতেই রাজ্য সরকারের তুমুল সমালোচনা করেন আদিত্যনাথ। প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যের শিল্পনীতি নিয়ে। সপ্তম বেতন কমিশনের প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদেরও মন জয়ের চেষ্টা করেন তিনি।
এদিন বাঁশবেড়িয়ায় হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় সমর্থনে এক জনসভায় আদিত্যনাথ বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারিরা বঞ্চিত। সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে বেতন পান না তাঁরা। যার ফলে এরাজ্যে বহু পদস্থ আধিকারিকের থেকে বেশি বেতন পান উত্তর প্রদেশের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।
ইতালিতে রাখা চুরির টাকা কি গরিবদের দিতে চান রাহুল, প্রশ্ন তুললেন যোগী আদিত্যনাথ
বনগাঁর সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের শিল্পনীতি নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন যোগী। তিনি বলেন, তৃণমূলি গুন্ডাদের তোলাবাজির জন্য পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করতে চান না শিল্পপতিরা। তাঁরা জানেন কী ভাবে শিল্প প্রতিষ্ঠার নামে তাঁদের ডেকে এনে ঘিরে ধরে তোলাবাজি করে তৃণমূল। তাই শিল্পপতিরা আর এরাজ্যে আসতে চান না।
বেতন বৈষম্য নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ক্ষোভ কারও অজানা নয়। ডিএ-সহ একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে সরব তাঁরা। এদিন যোগীর বক্তব্য ভোটের মুখে সেই ক্ষোভকে কাজে লাগানোর চেষ্টা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।