ভ্যাকসিন নিয়ে খুশি ৯৮ বছরের সনত্‍ চ্যাটার্জি; দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার কথা মনে পড়ে তাঁর

বাড়িতে এসে তাঁকে ভ্যাকসিন দেওয়ার এই উদ্যোগে তিনি খুশি।

Updated By: Jun 28, 2021, 07:38 PM IST
ভ্যাকসিন নিয়ে খুশি ৯৮ বছরের সনত্‍ চ্যাটার্জি; দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার কথা মনে পড়ে তাঁর

নিজস্ব প্রতিবেদন: ভ্যাকসিন দেওয়া হল হাওড়া জেলার আটানব্বই বছরের এক বৃদ্ধকে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে মধ্য-হাওড়ার সনত্‍ চ্যাটার্জি সুস্থই আছেন। আগেই তাঁর জরুরি কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল। 

ভ্যাকসিন (vaccine) নেওয়ার পরে সনত্‍ চ্যাটার্জি বললেন, সেই ছোটবেলায় বসন্তের টিকা নিয়েছিলেন! করোনার মতো পরিস্থিতি তাঁর দীর্ঘ জীবনে দেখেননি বলে উল্লেখ করেছেন।

আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে সরাতে হবে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের পদ থেকে, সোচ্চার তৃণমূল

প্রথম থেকেই ভ্যাকসিন নেওয়ার ইচ্ছে ছিল মধ্য-হাওড়ার (howrah) বোস্টমপাড়ার বাসিন্দা সনত্‍ চ্যাটার্জির। তিনি নিজের বয়স একশো বছর দাবি করেন। তবে জানা গিয়েছে, তাঁর ঠিক বয়স আটানব্বই। তবে এতখানি বয়সে তাঁপ পক্ষে ভ্যাকসিন নেওয়া আদৌ যুক্তিযুক্ত হবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজন। 

চিকিৎসকরা অবশ্য বলছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে বয়সের কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই। তাই সনত্‍বাবু ভ্যাকসিন নিতেই পারেন। তবে তার আগে তাঁর কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা প্রয়োজন। এই প্রসঙ্গে তাঁর ভ্যাকসিন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত যুবরাজ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বৃদ্ধ প্রথমে ইতস্তত করছিলেন পরে ভ্যাকসিন নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। সব ঠিক থাকায় টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর পুর নিগমের (municipality) সঙ্গে যোগাযোগ করে সনত্‍বাবুর টিকার ব্যবস্থা করা হয়।

আজ সোমবার সনত্‍বাবু তাঁর বাড়িতেই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজটি নেন। তাঁকে টিকা দেওয়ার পরে স্বাস্থ্যকর্মী দেবযানী গুঁই জানান, সনৎবাবু দেশের অন্যতম প্রবীণ নাগরিক। তাঁকে ভ্যাকসিন দিতে পেরে খুব ভাল লাগছে তাঁর। এর মাধ্যমে সমাজের সকলকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য বার্তা দেওয়ার কাজটাও হয়। এবং এক্ষেত্রে এটাও তাঁদের উদ্দেশ্য বলে জানান তিনি। 

আর ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে সনৎবাবু জানান, বাড়িতে এসে তাঁকে ভ্যাকসিন দেওয়ার এই উদ্যোগে তিনি খুশি। এর পরই তিনি স্মৃতিতে ডুব দেন। বলেন, সেই কোন ছোটবেলায় বসন্তের টিকা নিয়েছিলেন, তার পরে আজ এই কোভিড টিকা নিলেন। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের অবস্থা আগে তিনি দেখেননি। করোনা রোগীর সেবা করতে গিয়ে এত ডাক্তার-নার্সের মৃত্যু হল দেখে তিনি খুবই কষ্ট পেয়েছেন। তিনি বলেন, সেই বিশ্বযুদ্ধের (world war) সময়ে ব্ল্যাক-আউট হত। তখন সাময়িকভাবে এই ধরনের একটা অবস্থা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এই অতিমারীর মতো নয়। তাঁর টিকাকরণের সঙ্গে জড়িত সকলকে তিনি ধন্যবাদও জানান।

(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

আরও পড়ুন: দু'দিন পরেই খুলছে মালবাজারের বাগরাকোট চা-বাগান

.