ভোটগ্রণকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র চোপড়া, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিসের লাঠি - কাঁদানে গ্যাস
ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে কাছেই দিঘির কলোনির ১৮০ নম্বর বুথে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রাম থেকে ভোটারদের বেরোতে দিচ্ছে না বহিরাহত দুষ্কৃতীরা। বেরোনোর চেষ্টা করলেই মারধর করা হচ্ছে ভোটারদের। প্রতিবাদে চোপড়া বাসস্ট্যান্ডে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের শুরুতেই উত্তেজনা দার্জিলিং কেন্দ্রের চোপড়ায়। অভিযোগ ওই কেন্দ্রের একাধিক বুথের দখল নিয়েছে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা। ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি মারধরও করেছে তারা। পুলিস পর্যবেক্ষককে অভিযোগ জানিয়ে কাজ না হওয়ায় এদিন পথ অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এলাকায় চরম উত্তেজনা রয়েছে। দুষ্কৃতীদের এলাকাছাড়া করতে লাঠি, কাঁদানে গ্য়াস চালায় পুলিস।
অভিযোগ বৃহস্পতিবার দার্জিলিং কেন্দ্রের চোপড়া বিধানসভা এলাকায় মিদ্দাপাড়ায় ১৫৯ নম্বর বুথে ভোট দিতে গেলে বাধা দেওয়া হয় গ্রামবাসীদের। ভোটার স্লিপ কেড়ে নিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পালটা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা।
ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে কাছেই দিঘির কলোনির ১৮০ নম্বর বুথে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রাম থেকে ভোটারদের বেরোতে দিচ্ছে না বহিরাহত দুষ্কৃতীরা। বেরোনোর চেষ্টা করলেই মারধর করা হচ্ছে ভোটারদের। প্রতিবাদে চোপড়া বাসস্ট্যান্ডে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, ওই বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য পুলিস। আর সেই সুযোগে বুথের দখল নিয়েছে তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা।
ফোন কানেই ভোট দিলেন নির্দল প্রার্থী হরকা বাহাদুর ছেত্রী
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে পুলিস পর্যবেক্ষক পৌঁছলে তাঁকে অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ না করেই এলাকা ছাড়েন তিনি। এতে বিক্ষোভ আরও বাড়ে। পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও অবরোধ তোলেননি গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, ওই বুথে আবার ভোটগ্রহণ করাতে হবে।
বুথে গিয়ে দেখা যায়, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের পাশে একটি ঘরে বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন পুলিসকর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুইক রেসপন্স টিম। তবে গ্রামবাসীরা ভোট দিতে না-পারলে ফের ভোটগ্রহণের দাবিতে অনড়।
সকাল ১০.৩০ মিনিট নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ময়দানে নামে বিশাল পুলিস বাহিনী। নামে ব়্যাফ। দুষ্কৃতীদের এলাকাছাড়া করতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিস। জাতীয় সড়কের পাশে একাধিক গুমটি থেকে বার করা হয় বেশ কয়েকজন যুবককে। তল্লাশি করে কিছু না মিললেও তাদের আটক করে বাহিনী। আটক যুবকদের পালটা দাবি, দোকানে বসে ছিলেন তাঁরা। এর পরই তুলে দেওয়া হয় অবরোধ। স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।